কলকাতারাজ্যের খবর

শিল্পায়নের জন্য ল্যান্ড ব্যাঙ্কের জমি ব্যবহার করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা, ইতিবাচক বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

Investors can use land bank land for industrialization, positive message of Chief Minister

The Truth Of Bengal :  শিল্প গড়ার  জন্য সুলভে বিদ্যুৎ, পর্যাপ্ত জমি, রাস্তা সহ যাবতীয় পরিকাঠামো প্রাথমিক প্রয়োজন।বাম আমলে জমি না থাকায় জমিদখল করতে যেতে হয় প্রশাসনকে।তাতে নানা জায়গায় বিক্ষোভ দানা বাঁধে। কৃষকরা প্রতিবাদে সামিল হন। জোর করে জমি নেওয়ার সেই রাজনৈতিক সংস্কৃতি বন্ধে এগিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমান সরকারের আমলে শিল্পের স্বার্থে ল্যান্ড ব্যাঙ্কে জোর  দেওয়া হয়েছে। যাতে বিনিয়োগকারীরা সেই জমিকে কাজে লাগিয়ে শিল্প নির্মাণের সুবিধা পায়। এর মধ্যে শিল্প দফতর এবং রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমকে প্রায়  ৬ হাজার একর জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। ল্যান্ড ব্যাঙ্কে জমির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য প্রশাসনিক স্তরে নতুন পদক্ষেপ করা হচ্ছে।নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন, শিল্পের জন্য যেন জমির কোনও সমস্যা না নয়।

বিনিয়োগকারীরা যাতে রাজ্য সরকারের জমির শিল্পের কাজে ব্যবহার করতে পারে সেজন্য প্রশাসনকে নির্দেশও দিয়েছেন প্রশাসনিক প্রধান।অনেক ক্ষেত্রেই সরকারি  জমি বেদখল হয়ে হওয়ার অভিযোগ এসেছে। তাই  ল্যান্ড ব্যাঙ্কের জমির জরিপ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের সচিব বিবেক কুমার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই ল্যান্ড ব্যাঙ্কের জমি জরিপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত নবান্নতে জমি জরিপের   রিপোর্ট জমা দেওযার নির্দেশও জারি হয়েছে। কোন জেলায় ল্যান্ড ব্যাঙ্কে কত জমি রয়েছে তার হিসাবও দিতে হবে জেলা প্রশাসনকে। চলতি বছর বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হচ্ছে না। লোকসভা নির্বাচনের  প্রস্তুতি নিতে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে রাজ্য সরকার আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ এ বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করতে চায়।

ইতিমধ্যে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সরকারি ল্যান্ড ব্যাঙ্ক থেকে বেশ কিছু জমি বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হয়েছে।  এই মুহূর্তে কোন জেলায় কত জমি রয়েছে তার হিসাব চাইছে নবান্ন। পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি জমির মত ল্যান্ড ব্যাঙ্কের জমিও বেদখল হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেই কারণেই জমি জরিপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সরকারি ল্যান্ড ব্যাঙ্কের জমি সংক্রান্ত জরিপের রিপোর্ট নবান্নতে পেশ হবে। এরপরই ফের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর জেলা প্রশাসনের  রিপোর্ট হাতে নিয়ে পরবর্তী  বৈঠক করবে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।

Related Articles