
The Truth of Bengal: কুলতলী স্কুল ঘরে এখন মদ খাওয়ার ঠেক। সন্ধে নামলেই বসে মদের আসর। সাথে থাকে গাঁজাও। এমনই দুরাবস্থা কুলতলী ব্লকের গোপালগঞ্জ অঞ্চলের ১১৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। ঘরের ছাদ নেই বললেই চলে। দরজা জানালা কবেই খুলে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতিরা। ভেঙে ফেলা হয় রান্নার উনানও। স্কুল ঘরেই পড়ে থাকে মাদকাসক্তদের ব্যবহারের জিনিস। অনেকেই আবার পড়ুয়াদের বসার জায়গায় বমি করেও যান। এই অবস্থাতেই চলছে স্কুল। বর্ষাকালে বৃষ্টিতে বসাই যায় না।
শীতকালেও ঠান্ডায় ভুগতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। পানীয় জলের কোনো ব্যবস্থাই নেই। এছাড়া দরজা জানালা না থাকায় যখন তখন ঢুকে পড়ছে কুকুর, গরু সহ অন্যান্য গবাদি প্রাণী। এই দুরবস্থার মধ্যেই বিগত কয়েকবছর ধরে চলছে এই স্কুল। বারবার বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। শুধু পড়ুয়ারাই নয়, সমস্যার মধ্যে রয়েছেন গর্ভবতী মায়েরাও। তাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় এখান থেকেই। এইসব অব্যবস্থার কারণে পড়ুয়ারাও পড়তে আসতে চাইছে না।
দিদিমনিও নিয়মিত পড়াতে আসেন না বলে অভিযোগ। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী কল্পনা নস্কর জানান পর্যাপ্ত কর্মী নেই। স্কুল ঘর ভাঙা এই অবস্থায় কাজ করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য দ্রুত এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সঠিক পরিবেশ ফেরানো হোক। উন্নতি করা হোক পরিকাঠামোর। বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনতা হালদার, তিনি পুরোটা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।