ফ্লপ বিজেপির সন্দেশখালি প্রচার,বসিরহাটে বেলাইন গেরুয়া রথ
Flop BJP's sandeshkhali campaign, Beeline Gerua Rath in Basirhat

The Truth of bengal: বিজেপির সন্দেশখালি তত্ব ভোট বাক্সে ফ্লপ হল।জোড়া স্টিং অপারেশনে স্পষ্ট হয়,সন্দেশখালিতে রাজনৈতিক জমি তৈরি করতে গেরুয়া শিবির মেরুকরণের ছকে নতুন খেলা খেলতে চায়।কিন্তু, সত্য চাপে থাকেনি। বাংলা জাগোর ক্যামেরায় যে সত্য ধরা পড়ে তাই প্রতিফলিত হয় পরবর্তী সময়ে। গঙ্গাধর কয়াল থেকে রেখা পাত্র,সকলেই নকল নির্যাতনের ঘটনা ফাঁস করেন। বসিরহাটের জনতাও ভোটের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিল, বাংলার বিরুদ্ধে বদনামের রাজনীতি তাঁরা বরদাস্ত করবে না। লক্ষ্য লোকসভা ভোট,তাই জানুয়ারিতে ইস্যু তৈরি করে বিজেপি। সন্দেশখালি নিয়ে রে রে করে মাঠে নেমে পড়ে গেরুয়া শিবির। ৬মাস ধরে টানটান চিত্রনাট্য তৈরি করে বিজেপি। প্রচারের হাইলাটসে উঠে আসে সন্দেশখালির হাতেগরম ইস্যু।সন্দেশখালির ২ নম্বর মন্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল অকপটে স্টিং অপারেশনে স্বীকার করেন,মোটা টাকা খরচ করে তাঁরা নির্যাতনের নিখুঁত নাটক সাজানো হয়।শুধু মানিপাওয়ারের দেদার খরচ করেও ব্যুমেরাং হয় বিজেপির বাংলা বিরোধী লাগাতার ক্যাম্পেন।
বোঝার চেষ্টা করা হয় প্রকৃত ঘটনাটা কী? জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে আমাদের প্রতিনিধি তুলে আনে মানুষের মনের কথা।ধরা পড়ে জমি নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও নারী নির্যাতনের ঘটনা রাজনৈতিক রং চড়িয়ে বানানো হয়েছে। জোড়া স্টিং অপারেশনে রং চড়ানো নির্যাতন কাণ্ডের নেপথ্যের কাহিনী আরও স্পষ্ট হয়।গঙ্গাধর কয়াল,রেখা পাত্ররা যেকথা ক্যামেরার সামনে স্বীকার করেন,সেকথা সাদা কালো চোখে বিচার করে তুলে ধরেন সিরিয়া পারভিন।সুকান্ত মজুমদারের ঘনিষ্ঠ সিরিয়া পারভিন বুঝিয়ে দেন,রাজনীতি করতে গিয়ে এত নীচে নামার কাহিনী তিনি বরদাস্ত করছেন না।তাই বিজেপির রাজনীতির ঘেরাটোপ ছেড়ে সিরিয়া মুক্তমনে আসল কথা তুলে ধরায় গেরুয়া মুখ পুরোপুরি পুড়ে যায় বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত।জনতাও আতস কাঁচে বিচার করে নেয় ক্ষমতা দখলের রাজনীতি তাঁরা প্রত্যাখান করেছে।কেন এই সন্দেশখালির রাজনীতির কলঙ্কের তত্ব হাজির করানো হয় ? কেন বিজেপি বাংলার বিরুদ্ধে সচেতন রাজনীতির নাট্যরূপ সাজানো হয়? সন্দেশখালিতে রয়েছে ৫৪শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট।
প্রায় ৪৬শতাংশ রয়েছে হিন্দু ভোটার। তাঁদের সেন্টিমেন্টকে হাতিয়ার করে ভোটে হাওয়া গরম করার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল কংগ্রেস সরব হয়, নির্যাতনকাণ্ডের নামে আসলে বিজেপি মেরুকরণের ভাবাবেগ উস্কে রাজনৈতিক জমি তৈরির চেষ্টা করছে। বাংলার সমস্ত মিডিয়া যখন সন্দেশখালি নিয়ে ফলাও করে গেরুয়া শিবিরের প্রচারে সায় দিচ্ছিল তখনই আমরাই সত্যের সন্ধানে এগিয়ে যাই। এখন ফলপ্রকাশের পর স্পষ্ট হল,বসিরহাটের সন্দেশখালি নিয়ে আজব গল্প মেনে নেয়নি সাধারণ মানুষ।বসিরহাটে হাজি নুরুল ইসলাম রেকর্ড ভোটে জিতলেন। বলা যায়,.বসিরহাট লোকসভায় রয়েছে ৭টি বিধানসভা, যার মধ্যে অন্যতম এই সন্দেশখালি। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বিজেপির সন্দেশ প্রত্যাখান করেছে বলে সরব তৃণমূল কংগ্রেস।আসলে বাংলাকে খাটো করতে গিয়ে বিজেপি নিজেদের ভোটব্যাঙ্কে ধস নামাল বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের অভিমত।নাগরিক সমাজের একাংশ বিরোধীদের বাংলাকে রোখার রাজনীতির বিরুদ্ধেও মুখ খোলেন। তাঁরা ,বাংলার ধর্মনিরপেক্ষতার ঐতিহ্য রক্ষা করতে নো ভোট টু বিজেপির ডাকও দেয়। এখন বাংলার অন্যান্য অংশের মতোই বসিরহাটের সচেতন ভোটাররাই বুঝিয়ে দিল একুশের মতোই চব্বিশেও তাঁরা সামাজিক ঐক্যও সংহতির রাজনীতির পক্ষেই থাকতে চান।বিরোধীদের শত চেষ্টা সত্ত্বেও অন্ততঃ বাংলার বনাম করার কোনও পরিকল্পনায় তাঁরা কান দিতে চান না। এই রাজ্যের ভোটাররা আবারও প্রমাণ করলেন, চোখ কান খোলা রেখেই অধিকার প্রয়োগ করেন তাঁরা,যতই প্রচারের রং চড়ানো হোক বা প্ররোচনা ছড়ানো হোক।