কৃষিকার্যে প্রয়োজন আধুনিকতার! চাষিদের সঙ্গে নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিল প্রশাসন
Drone will be use for Farming

The Truth of Bengal: নিরাপত্তার নজরদারির কাছেই ব্যবহার করা হয় ড্রোন। অন্যান্য নানা কাজেও লাগে এই প্রযুক্তিনির্ভর যান। এবার সেই ড্রোনকেই কৃষিকাজের লাগানোর অন্যরকম ভাবনা চোখে পড়ছে। ড্রোনের মাধ্যমে কিভাবে জমিতে স্প্রে করা হবে সে নিয়ে আলোচনা করতে দেওয়া হচ্ছে ট্রেনিং। কৃষি-অর্থনীতির জনকরা বলেন, কৃষির উত্পাদন বাড়লে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির উন্নতি হয়। কৃষিও কৃষকের সামগ্রিক মাণোন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশাসনিক স্তরে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে রাজ্য সরকার স্পষ্ট করেছে।
সেচের সুবিধা থেকে উন্নত বীজ,সার প্রয়োগ করে এই রাজ্যে ফলন ৩ গুণ বেড়েছে। সারা দেশে কৃষিতে ডামাডোল দেখা দিলেও এই রাজ্যে তার ব্যতিক্রমী সাফল্য জাতীয় পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। এরপর শস্যশ্যামলা বাংলার মাটির গুণমাণ বাড়ানো থেকে শুরু করে কৃষির পরিকাঠামো বৃদ্ধিতেও নজর দিচ্ছে কৃষি দফতর। তাই আধুনিক পদ্ধতিতে চাষের সুবিধা করতে দিতে কৃষি দফতর বিশেষ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাও করছে। মঙ্গলকোটের নতুনহাট মিলন পাঠাগারে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ৫০০জন কৃষককে বেছে নিয়ে চাষের সহজপাঠ দেওয়া হচ্ছে।
ড্রোনের মাধ্যমে কিভাবে জমিতে স্প্রে করা হবে সে নিয়ে আলোচনা করা হয় এই ট্রেনিংয়ে। চাষিরা জানান এই ড্রোনের মাধ্যমে জমিতে স্প্রে হলে যেমন শ্রমিকের সংখ্যা কম লাগবে তেমনই আবার খুব দ্রুত জমিতে স্প্রে করা যাবে।অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কৃষির আরও ফলন বাড়ানোর চেষ্টা,আশা জাগাচ্ছে কৃষকদের মধ্যে। প্রযুক্তির মাধ্যমে ধান থেকে পাঠ,সবকিছুর চাষের এই ব্যবস্থাপনা সবমহলে তারিফ আদায় করে নিচ্ছে।