রাজ্যের খবর

ঘাটালে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ধুন্ধুমার এলাকা,সাংসদ দেবের সামনেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল

Clashes between two groups in Dhundhumar area due to factional conflict, MP Dev in front of him

Truth of Bengal: শিশু মেলার নিয়ন্ত্রণ কোন গোষ্ঠীর হাতে থাকবে তাই নিয়ে রবিবার ঘাটালে ধুন্ধুমার বাঁধে। সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবের সমর্থকদের সঙ্গে প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুইয়ের সমর্থকদের মধ্যে তুমুল বিবাদ হয়।যারজন্য ঘাটালের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিস হুদাইত।

শিশু মেলার রাশ কার হাতে থাকবে তাই নিয়ে রবিবার দুপুরে লঙ্কাকাণ্ড বাঁধে ঘাটালে।একদিকে দেবের সমর্থক আর অন্যদিকে শঙ্কর দলুইয়ের সমর্থক,দুই টিমের সদস্যদের মধ্যে ধুন্ধুমার বাঁধে।হাতাহাতি-রক্তারক্তিতে উত্তাল হয় ঘাটালের অরবিন্দ স্টেডিয়াম।উল্লেখ্য,প্রতিবছরই ঘাটালে শিশুমেলার আয়োজন করা হয়। এবার ৩৭ তম বছরে সেই শিশুমেলার আয়োজনের তত্পরতা লক্ষ্যণীয়। গত বছর মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক শংকর দলুই।

ঘাটালের সাংসদ দেবের অনুগামীরা চেয়েছিলেন এবার মেলার রাশ থাকুক দেবের হাতে। কিন্তু ২০ নভেম্বর মেলা কমিটি তৈরির জন্য মিটিং ডাকেন শঙ্কর দলুই। দেব সেই বৈঠকে যোগ দেননি। তবুও নিজেকে সম্পাদক পদে রেখে কমিটি গঠন করেন শঙ্কর,যা মোটেই ভালোভাবে নেননি দেব। পরবর্তী নতুন কমিটি গঠনের জন্য রবিবার  মিটিং ডাকেন দেব। বিশৃঙ্খলা দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানান তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ।

সেইমতো ঘাটাল অরবিন্দ স্টেডিয়ামে দুই পক্ষেরই জমায়েত ছিল।দুপুর  ১টা নাগাদ ঘাটাল অরবিন্দ স্টেডিয়ামে পৌঁছান সাংসদ দীপক অধিকারী। তারপরই শুরু হয়ে যায় দেবকে ঘিরে বিক্ষোভ। উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। অরবিন্দ স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যান সাংসদ দীপক অধিকারী। তার মধ্যেই শঙ্কর দলুই অনুগামীরা  দীপক অধিকারী অনুগামীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে মেতে ওঠেন। শুরু হয় তুমুল উত্তেজনা।

ঠেলাঠেলি, মারপিট, মারের চোটে মাথা ফাটে বেশ কয়েকজন তৃণমূল সমর্থকদের। দুই পক্ষের কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়।  ঘাটাল অরবিন্দ স্টেডিয়াম সহ ঘাটাল কুশপাতা এলাকা জুড়ে ছড়ায় উত্তেজনা।পুলিশ কোনওমতে পরিস্থিতি সামলায়।এই বিশৃঙ্খলা দেখে কড়া অবস্থান নেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিস হুদাইত।যাঁরা এই বিশৃঙ্খলায় জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোরতম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে জানা গেছে।

Related Articles