
The Truth Of Bengal : নদিয়া, মাধব দেবনাথ : চৈত্র মাস পড়তেই গাজন, অর্থাৎ নীল পূজোর মধ্য দিয়ে আবার চড়ক পুজো। এই একটা মাস লাখ লাখ ভক্তবৃন্দরা দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনায় মগ্ন হন। তবে বেশিরভাগ ভক্তরা গাজনের সন্ন্যাসীর বেশে করেন মহাদেবের আরাধনা। যদিও এই গাজন উৎসব গোটা নদীয়া জেলায় এক অন্যতম যা ব্যতিক্রম নয় নদীয়া শান্তিপুরও। নীল পূজো অর্থাৎ দেবাদিদে মহাদেবের আরাধনার শেষ লগ্ন। গতকাল মধ্যরাতে মহাশনের উদ্দেশ্যে চালান করা হয় সন্ন্যাসীদের, এরপর পাকা ভোগ দিয়ে আবারো পুজোস্থানে ফিরে আসে সন্ন্যাসীরা, আর এই প্রথা চলে আসছে বহু যুগ যুগ ধরে। চড়ক পূজোর উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, কেউ ৭৪ বছর কেউ ৫০ বছর এই ভাবেই তারা গাজন উৎসব পালন করে থাকছেন।
আর যত দিন যাচ্ছে মানুষের উদ্দীপনা বাড়ছে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে। তবে সন্ন্যাসীরা জানাচ্ছেন, এক মাস নিষ্ঠার সাথে উপবাস করে এই গাজন অর্থাৎ নীল পূজো পালন করতে হয়। আর সারা বছরই এই দিনটার জন্য মুখিয়ে থাকে ভক্তরা। যদিও আজ চড়ক পুজো। বিভিন্ন সন্ন্যাসীরা তারা নিজেদের পিঠে লোহার বরসি গীতিয়ে ঘুরবেন চড়কে, এছাড়াও ভক্তবৃন্দদের মনোরঞ্জনের জন্য চরকের ময়দানে করা হয় বিভিন্ন কলা কৌশল।
কখনো সাজানো হয় নর রাক্ষস, কখনো আবার গালের ভেতরে বর্ষী গিতিয়ে ঘোরানো হয় মাঠের চারপাশে। আর সেখানেই ভক্তবৃন্দরা তাদের দান দক্ষিণা প্রদান করে সন্ন্যাসীদের। এক প্রকার বলা যেতেই পারে, শুধু এপার বাংলা নয় ওপার বাংলাতেও এই গাজন উৎসবের এক অন্যতম ছোঁয়া রয়েছে। যদিও ওপার বাংলার গাজন উৎসবকে কেন্দ্র করে এক উল্লেখিত নাম রয়েছে অষ্টক গানের, যা এপার বাংলাতেও এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর গোটা একটা মাস এই গাজন উৎসব যেন আম বাঙালির মধ্যে এক অনন্য ছোঁয়া দিয়ে যায়।