কোচবিহারে বিনামূল্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছেন গাড়ি চালক
Car drivers are delivering free of charge to the examination centers

The Truth Of Bengal: এক ডাকেই সাড়া দেন তিনি। সময়মতো পৌঁছে যান মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের দুয়ারে। কোনওরকম অর্থ না নিয়েই গাড়ি করে পরীক্ষার্থীদের পৌঁছে দেন পরীক্ষাকেন্দ্রে। শিক্ষার প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই কাজ বলে জানিয়েছেন কোচবিহারের গাড়ি চালক শঙ্কর রায়। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই আদর্শ মেনে চলার পণ করেছেন বলে মনে করেন তিনি। শিক্ষাদরদী গাড়ি চালককে কুর্নিশ করেছেন অনেকেই।
একবার ফোন এলেই তিনি বাড়িয়ে দেন হাত।ছুটে যান মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর দুয়ারে।কোনরকম গাড়ি ভাড়া নেন না। পরীক্ষার্থীদের সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেন। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নিখরচায় পরিষেবা দেন শঙ্কর রায়।প্রতিবারের মতোই এবারও পরিষেবা প্রদানে তাঁর আন্তরিকতা,দায়িত্ব পালনে কোনওরকম ঘাটতি দেখা যায়নি।কেন এভাবে পরীক্ষার্থীদের প্রতি দরদী হয়ে উঠেছেন ? আসলে তাঁর মাঝপথে থমকে যায় পড়াশোনার জীবন।শিক্ষালাভের লক্ষ্যপূরণ হয়নি, বুকে রয়ে গেছে একরাশ আক্ষেপ।কেউ যাতে পড়াশোনায় সমস্যায় না পড়ে,কারুর যাতে পরীক্ষার পথে প্রতিবন্ধকতা না তৈরি হয় সেজন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার শপথ নিয়েছেন শঙ্কর রায়।
যাঁরা পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে পারেন না তাঁদের কাছে এই বিনামূল্যের পরিষেবা শিক্ষার হিতে বড় ভূমিকা নিচ্ছে।রাস্তায় দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাঁরা ক্লান্ত হয়ে যান সেইসব মানুষদের কাছে এই গাড়িচালক হয়ে ওঠেন সহায় সম্বল।একেবারে পড়ুয়াদের নিজের সন্তানের মতো গাড়িতে ওঠান,তারপর স্নেহভরে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেন।শিক্ষার প্রতি ভালোবাসা আর টান থেকেই এই দায়িত্ব পালনের তাগিদ বলেই অভিভাবকরাও মনে করছেন।
পরীক্ষার্থীরাও নিস্বার্থ এই কাজের প্রশংসা করছে।অল্পবয়সীরা নিরাপদে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারায় ভরসাও পাচ্ছে।এবার মাধ্যমিকের পরীক্ষার সময় এগিয়ে এসেছে।৯টা ৪৫মিনিটে দেওয়া হচ্ছে প্রশ্ন পত্র।তার আগেই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানো জরুরি। এখন এই ফ্রি সার্ভিসের গাড়িতে কোচবিহারের পড়ুয়ারা চলে যাচ্ছে পরীক্ষাকেন্দ্রে।তাই দায়িত্বশীল এই গাড়ি চালকের ভূমিকার সবাই তারিফ করছেন খোলা মনে ।