ব্যবসারাজ্যের খবর

উত্তরের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সেতুর বিকাশ!

Uttarbanga Economy

The Truth of Bengal: ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই উত্তরবঙ্গকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বাংলার উত্তর প্রান্তকে অখণ্ডের আলোয় উদ্ভাসিত করতে পৃথক সচিবালয় তৈরি করেন।উত্তরকন্যা তৈরি করে বিকেন্দ্রীকৃত পথে  উন্নয়নের কাজ শুরু হয়।শুধু কথার কথা নয়,চা বলয়ের বুনিয়াদ শক্ত করার পাশাপাশি পর্যটন নির্ভর অর্থনীতিকেও চাঙ্গা করা হয়।উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের মাধ্যমে অনুন্নয়ন,বিচ্ছিন্নতার ধারাণাকে নির্মূল করতে পাহাড়-সমতলের ধাপে ধাপে বিকাশ পৌঁছে দেওয়ার কর্মষজ্ঞ চলছে বলে দাবি প্রশাসনের।

উত্তরবঙ্গের শিল্পোন্নয়ন ও পর্যটনের গতি বাড়াতে পরিকাঠামো নির্মাণে বেশি জোর দেওয়া হয়। সেতু থেকে রাস্তা,চা বাগানের মজুরিবৃদ্ধি থেকে বাড়ি নির্মাণ,সবকিছুই বিকাশের রসদকে শক্ত করে।তাই জনকল্যাণে সমুন্নত বিকাশের নীলনকশা কার্যকর করতে নদীর ওপর সেতু নির্মাণ পথের গতি বাড়াচ্ছে। বাগানের শ্রমিক থেকে মজুর সবাইকে কাজ দিচ্ছে। ফিরছে আর্থিক স্বচ্ছলতা। উত্তরবঙ্গে তৈরি হয়েছে জয়ী সেতু, তৈরি হয়েছে পাহাড়িপুর, কাছুয়া, কাহালাই, পাতাপুরে সেতু।শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত নকশালবাড়ির ব্লকের হাতিঘিসা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জমিদারগুড়ির। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে বামনঝরা নদীর উপর অর্ধঃসমাপ্ত সেতু ওই একই অবস্থা রয়েছে। যার কারণে সমস্যায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ।  ২০১৪ সালে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে জমিদারগুড়ি থেকে জঙ্গলবস্তি সংযোগকারী দুটি গ্রামের মাঝে বামনঝরা নদীর উপর কংক্রিটের সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল।

বর্ষার মরশুমে নদী জল স্তর বেড়ে গেলে বিকল্প পথ  ব্যবহার করতে হয়।  কলাবাড়ি ও জাবড়া হয়ে প্রায় ১০ কিমি ঘুরপথ হয়ে নকশালবাড়িতে যেতে হয়।  জমিদারগুড়ি, হুইচাই মল্লিকজোত, জঙ্গলবস্তি, কেটুকাবুর, বীরসিংজোত, বিজয়সিং গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের যাতায়াতের ওই নদীর উপর দিয়ে। বামনঝরা নদীর এপার ওপারে ৬টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, ১টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র, ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াত এই পথেই করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, বর্ষা শুরু হয়েছে, এখন বিপত্তি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।প্রশাসন সেতু নির্মাণে আন্তরিক প্রয়াস নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে থমকে যাওয়া কাজকে আলাদা গতি দেওয়ার ভাবনা দেখে সকলেই ভরসা পাচ্ছে।  সেতু সংস্কার থেকে অর্থনীতির সেতুবন্ধন যে পোক্ত হবে তা প্রশাসনের কর্তারাও মেনে নিচ্ছেন।

Related Articles