সুখবর! চাল ও পাট উৎপাদনে দেশে শীর্ষে বাংলা
Bengal tops the country in the production of rice and jute

Truth Of Bengal: বাংলার কৃষি ও কৃষকের উন্নতিতে বহুমুখী পদক্ষেপ সুফল দিচ্ছে। একদিকে মাটির উর্বরতা শক্তি বাড়ানো,সেচের সুবিধা বৃদ্ধি করা আর অন্যদিকে কৃষকদের বীমার আওতায় এনে দুর্যোগের সময় পাশে দাঁড়ানোর কাজ করে কৃষি উত্পাদনের ভিত গড়া হচ্ছে।যারজন্য এই বাংলা চাল ও পাট উত্পাদনে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি আদায় করে নিচ্ছে। বাংলার কৃষির সার্বিক বিকাশের যে ছবি ধরা পড়ছে,তা তুলে ধরেছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিংয়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের মাঝে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বাংলার কৃষি উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন তিনি। কৃষিমন্ত্রী বলেন দেশের মধ্যে বাংলা চাল উৎপাদনে এক নম্বরে রয়েছে।পাট উৎপাদনেও দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলা। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলার কৃষকদের আয় বৃদ্ধি হয়েছে।
শিবরাজ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ মূলত কৃষিপ্রধান রাজ্য। গোটা দেশের মাত্র ২.৯ শতাংশ কৃষিজমি রয়েছে এই রাজ্যে। অথচ গোটা দেশের মোট জনসংখ্যার ৭.৮ শতাংশ এ রাজ্যে। রাজ্যের প্রায় ৯৬ শতাংশ কৃষকই ক্ষুদ্রচাষি। কিন্তু তারপরও চাল উৎপাদনে দেশে একনম্বরে বাংলা, পাটে একনম্বরে, আলুতে দু’নম্বরে, ভুট্টায় ৫ নম্বরে রয়েছে এই রাজ্য। পাশাপাশি কৃষকদের আয় বৃদ্ধির নিরিখেও দেশের ২০টি বড় রাজ্যের মধ্যে বাংলা একনম্বরে।
এই রাজ্যে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২১১ শতাংশ। উৎপাদনশীলতা ১৯২ শতাংশ জাতীয় ১৪৩.৬ শতাংশ।তিনি আরও তুলে ধরেন, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনায় জোর কেন্দ্রের কিন্তু রাজ্যে দুটো ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম রয়েছে। কৃষক বন্ধু ও কৃষক বিমা। মন্ত্রী অভিযোগ করেন, সার এর ক্ষেত্রে রাজ্যের প্রাপ্য ভাগ ২০২১ সালে ছিল ৫ লক্ষ মেট্রিক টন। এখন তা কমিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ।
সেটা কমিয়ে ১ লক্ষ ২৭ হাজার মেট্রিক টন দেওয়া হচ্ছে। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন কেন্দ্রীয় সরকার যেন কৃষক বিরোধী কোন নীতি গ্রহণ না করে।