রাজ্যের খবর

দুর্গাপুজোয় বলাগড়ের বড় চমক অযোধ্যার রাম মন্দির, বাজেট ৬০ লক্ষ টাকা

Balagarh's big surprise on Durga Puja is Ayodhya's Ram temple, budget 60 lakh rupees

Truth Of Bengal : হুগলি, রাকেশ চক্রবর্তী : দুর্গাপুজোর আর এক মাসও বাকি নেই। চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে উমা কৈলাশ থেকে মর্তে আসছেন বাপের বাড়ি। চারিদিকে যেন সাজো সাজো রব। শুরু হয়ে গিয়েছে মন্ডপ তৈরির কাজ, উমাকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি। শহরতলীর পাশাপাশি পিছিয়ে নেই জেলাও। হুগলির বলাগড়ে এবার নজর রয়েছে সকলের।

দুর্গাপুজোয় বিরাট বিরাট মণ্ডপ তৈরি করেছে বারোয়ারী পুজো কমিটি গুলি। তাদের মধ্যে নজর কড়েছে জিরাট সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। প্রতিবছরই মন্ডপ শয্যায় থাকে তাদের বিশেষ চমক। এ বছরও তার ব্যাতিক্রম ঘটছে না, প্লাটিয়াম জয়ন্তী বর্ষে তাদের থিম অযোধ্যার রাম মন্দির। যা জেলার মধ্যে প্রথম তৈরি হচ্ছে এই মন্ডপ এমনটাই মত পুজো উদ্যোক্তাদের। ইতিমধ্যেই মন্ডপ তৈরীর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে মন্ডপে রামের পরিবর্তে থাকবে দশ হাতের দুর্গা।

পরিবেশ বান্ধব মন্ডপ তৈরি করতে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ, বেটম, ফোম, ভেষজ রং, পাট ইত্যাদি। মন্ডপের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আলোকসজ্জাতেও থাকছে বিশেষ চমক। শব্দের সঙ্গে  সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমুহূর্তে রং পরিবর্তন হবে মন্ডপের। মন্ডপের চারপাশ জুড়েই থাকবে নারায়ণ, রাম সীতার ও হনুমানের মূর্তি। মন্ডপের চূড়ায় থাকবে ফাইভারের জিনিস। প্রায় এক মাস ধরে চলছে এই মন্ডপ তৈরির কাজ। তৃতীয়ার দিন মন্ডপের কাজ সমাপ্ত করতে হবে তাই এখন না পাওয়ার সময় নেই শিল্পীদের।

শিল্পী তপন কুমার পাত্র বলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি করতে যতটা জায়গার প্রয়োজন হয়েছে ততটা জায়গা পাওয়া যায়নি। কিছুটা কাটছাঁট করেই এই মন্ডপ নির্মাণ করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ মন্ডপে ফাইবারের কাজ করা হবে । মন্ডপের চারপাশ জুড়ে থাকবে রামের মূর্তি এবং মন্ডপের ভিতরে ২৫ ফুট বাই ২৫ ফুট এর একটি ঝাড় করা হবে। সেটা কি ও বিভিন্ন মডেল দিয়ে সাজানো হবে।

পুজো কমিটির সেক্রেটারি নীলাদ্রি মন্ডল বলেন, ভারতবর্ষে সবথেকে চর্চিত মন্দির হল এই রাম মন্দির গত বছর এই মন্ডপটি কলকাতায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। গ্রামের বহু মানুষ আছে যারা রাম মন্দির দেখার স্বপ্ন দেখলেও সেই জায়গায় তারা পৌঁছতে পারেন না তাই আমরা রাম মন্দিরের অনুকরণে এই মন্ডপটি তৈরি করছি। যেটি জেলায় প্রথম এই প্রথম মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। বাহাড়ি আলোয় সাথে সামঞ্জস্য বাজানো হবে সাউন্ড সিস্টেম। যা প্রতি মুহূর্তে মণ্ডপের রঙের বদল ঘটাবে । তবে মন্ডপে কোন অসংবিধানিক ডিজে বক্স বন্ধ থাকবে। পূজোর বাজেট প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। প্রতিমাতেও কোন বদল ঘটবে না। মন্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সনাতনী মাত্রিমূর্তি পুজিত হবে মন্ডপে। যা দেখলে শ্রদ্ধায় মাথা নিচু হয়ে আসবে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য মানুষকে শুধু আনন্দ দেওয়া।

Related Articles