ট্যাব জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও এক শিক্ষক,চলছে ধরপাকড়
Another teacher arrested in tab fraud case, manhunt underway

Truth of Bengal: ট্যাব জালিয়াতিকাণ্ডে দিনহাটার এক প্রাথমিক শিক্ষককে গ্রেফতার করল হবিবপুর থানার পুলিশ।অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মনোজিত্ বর্মন। শিক্ষকের ৮টি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকার লেনদেন করা হয় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এর আগে রকি শেখ নামে ভগবানপুরের এক শিক্ষককেও গ্রেফতার করা হয়। জামতারা গ্যাংয়ের জালিয়াতির নেটওয়ার্ক নির্মূল করতে পুলিশ ধরপাকড় বাড়িয়েছে। চলছে পড়ুয়াদের টাকা গায়েবের শিকড় ঠিক কোথায় ?
বাংলার সরকার পড়ুয়াদের অনলাইনে উচ্চশিক্ষার সুবিধার্থে যে অনুদান দিচ্ছে তা হাতিয়ে নিচ্ছে জালিয়াতরা। তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের ভুরি ভুরি টাকা গায়েবের প্রমাণ মেলায় পুলিশ তদন্তে আরও গতি বাড়িয়েছে।ঝাড়খণ্ডের জামতারা গ্যাংয়ের নেটওয়ার্ক কত গভীরে ছড়িয়ে রয়েছে তার কিনারা করতে যুদ্ধকালীন তত্পরতা শুরু করেছে, সাইবার ক্রাইম শাখার পুলিশ।বাংলাও বাংলার বাইরে কোথায় অপরাধের মাথারা লুকিয়ে রয়েছে,তা তথ্যতল্লাশ করতে মরিয়া রাজ্যের পুলিশ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুলিশ রাফ অ্যান্ড টাফ ভূমিকা নিয়েছে।রাজস্থান-মহারাষ্ট্র না পারলেও বাংলার পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি এই টাকা গায়েব চক্রের পান্ডাদের জালে তুলছে। চোরাচক্রের ফন্দি বুঝে নিতে চলছে অভিযুক্তদের জেরা। এরমধ্যে কোচবিহারের দিনহাটার এক প্রাথমিক শিক্ষককে গ্রেফতার করা হল।আন্তঃরাজ্য সাইবার প্রতারণার শিকড়ে পৌঁছাতে পুলিশের টিম কোনও খামতি রাখছে না।
পড়ুয়াদের প্রাপ্য টাকা যারা হাতিয়ে নিয়ে পকেট ভরাচ্ছে,তাঁদের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছে পড়ুয়াদের পরিবার।চলছে ধরপাকড়,গ্রেফতারি।সাইবার প্রতারণার ধরণধারণ বদলে যাওয়ায় পুলিশ সতর্কতা অবলম্বন করছে। অভিযুক্তর শিক্ষকের প্রায় কুড়িটি নিজস্ব একাউন্ট রয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে, তার মধ্যে আটটি একাউন্টে ট্যাব কান্ডের টাকা লেনদেন করে বলে জানা গিয়েছে।এছাড়াও অভিযুক্তের দাদা ও বৌ এর একাউন্টে টাকা লেনদেন করা হয় ।পুলিশ প্রশাসন স্পষ্ট করেছে, কাউকে ছাড়া হবে না।
ট্যাব জালিয়াতির তদন্তে কড়া প্রশাসন।জোলায় জেলায় চলছে ধরপাকড়। ভিনরাজ্যের চাঁইদের গ্রেফতার করে আনার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এবার জালিয়াতির শিকার হল আরামবাগের একাধিক স্কুলের পড়ুয়ারা। এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা স্থানীয় থানা ও সাইবার ক্রাইম দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। এই ধরনের অভিযোগের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে শিক্ষামহল।
জানা গেছে, আরামবাগের বড়ডোঙ্গল আরএন ইন্সটিটিউট, গোঘাটের ভগবতী বালিকা বিদ্যালয়, বালি হাইস্কুল ও বাঘারবার্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকরা এনিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ, পড়ুয়াদের দেওয়া ব্যাঙ্কের আইএফএসসি কোড এক রেখে অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। আবার কোনও ক্ষেত্রে আইএফএসসি কোড ও অ্যাকাউন্ট নম্বর দুটোই বদলে টাকা গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। আরামবাগ মহকুমার এক পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টের টাকা বিহারের কিষানগঞ্জের একটি অ্যাকাউন্টে চলে গেছে বলে ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গেছে।