Truth of Bengal: জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের (Interim Government) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। অন্তবর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল, জুলাই গণ-অভ্যুথ্থানের বর্ষপূর্তি এক মাস ধরে পালন করা হবে। মাঝে বিরতি দিয়ে ৫ অগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে। নাম দেওয়া হয়েছিল, ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যাপন অনুষ্ঠানমালা’। অনুষ্ঠান উপলক্ষে জুলাই ক্যালেন্ডার দেওয়া হবে ।
[আরও পড়ুনঃ Chapra: কলেজের অধ্যক্ষকে বেধড়ক মার! আতঙ্কে চাকরি ছাড়তে চাইছেন ওই অধ্যক্ষ]
অনুষ্ঠান চলাকালীন ১৮ জুলাই রাত ৯ টায় সারা দেশে ১ মিনিটের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। সিদ্ধান্তের পরই উত্তাল হয় রাজ্য-রাজনীতি। সমালোচনা শুরু হয় একাধিক মহলে। সমালোচনার মুখে পড়ে ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকি জানিয়েছেন, ১৮ তারিখ ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। নেটমাধ্যমেও শুরু হয়েছে সমালোচনা।(Interim Government)
[লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/truthofbengal]
কেউ এই সিদ্ধান্তকে ছেলেমানুষী বলে কটাক্ষ করেছেন, কেউ আবার সরকারী আধিকারিকদের সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছেন। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার? ২০২৪ সালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবরের গুজব আটকাতে শেখ হাসিনার সরকার ১৮ জুলাই রাত ৯ টা থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। সেই সময় দেশের সংবাদমাধ্যম বিপদে পড়ে। তারা খবর দেখাতে পারে না। বন্ধ হয়ে যায় ইন্টারনেট পরিষেবাও। সেই কারণে এবছর কর্মসূচিতে ১৮ জুলাই রাত ৯’টায় এক মিনিটের ইন্টারনেট প্রতীকি বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল অন্তবর্তী সরকার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমালোচনার মুখে পড়ে সিদ্ধান্ত বদল ইউনূসের সরকারের।






