লক্ষ্যভেদে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কাকদ্বীপের ৩ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী….
3 special needs secondary school students of Kakdwip according to target,

The Truth Of Bengal: কাকদ্বীপের অক্ষয়নগর জ্ঞানদাময়ী বিদ্যাপীঠ থেকে একসঙ্গে ৩জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এই পরীক্ষায় ভালো ফল করতে চান সঞ্চিতা গিরি,সুজয় দাস ও মুক্তা দাস। তাঁরা মনে করছেন হার না মানা মানসিকতার জয় হবেই।
কথায় বলে, ইচ্ছে থাকে উপায় হয়। আর সেই ইচ্ছেশক্তির জোরেই জীবনের প্রথম পরীক্ষায় ভালো ফল করতে চান কাকদ্বীপের অক্ষয়নগর জ্ঞানদাময়ী বিদ্যাপীঠের ৩পড়ুয়া।সঞ্চিতা গিরি,সুজয় দাস ও মুক্তা দাস,তাঁরা প্রত্যেকেই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন।মাধ্যমিকে তাঁদের সিট পড়েছে অক্ষয় নগর কোমর নারায়ণ হাই স্কুলে।এঁদের মধ্যে সঞ্চিতার বাড়ি অক্ষয়নগরে।যেহেতু সে পুরোপুরি সক্ষম নয়,তাই মা বা পরিবারের সদস্যদের কোলে চেপেই পরীক্ষাকেন্দ্রে যাচ্ছে সে।সোমবার ছিল ইতিহাস পরীক্ষা।নির্ধারিত সময়ের আগেই সে পৌঁছে যায়।তার ইচ্ছে শিল্পকলা নিয়ে পড়াশোনা করার।
কাকদ্বীপের বাসিন্দা মুক্তা দাস আবার মূক- বধির। ছোটবেলাতেই এই প্রতিবন্ধকতা ধরা পড়ে তার। অনেক চিকিৎসা করেও মেলেনি কোনও সুরাহা। মেয়ের লেখাপড়া নিয়ে সংশয় ছিল পরিবারের লোকজনের। তবে হাল ছাড়েনি মুক্তা। পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে নিজের উদ্যোগেই। সেও আর পাঁচজন পড়ুয়ার মতোই পরীক্ষা দিচ্ছে জীবনের বড় পরীক্ষা ।
অন্যদিকে মুক্তা কষ্ট করে পড়াশোনা করে।তার হাতের লেখা নাকি অত্যন্ত সুন্দর।এদের মতোই সুজয় দাসও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন।জন্ম থেকেই বিকলাঙ্গ, হাঁটাচলা করতে পারে না। লাঠি ধরে চলাফেরা করতে হয়। ছোট থেকেই স্নায়ুর সমস্যা। তিনবার অস্ত্রোপচার হয়েছে।সুজয় দাসের বাবা পেশায় একজন মৎস্যজীবী। অনেক কষ্ট করে অভাবের মধ্যেই পড়াশোনা করতে হয়েছে সুজয় কে। কিন্তু তার মধ্যেও জীবনের অদম্য যে দের কাছে হার মেনেছে প্রতিবন্ধকতা।
তবে এই বিষয়ে অক্ষয় নগর জ্ঞানদাময়ী বিদ্যাপীঠের সহকারী শিক্ষক জানায় আমরা গর্বিত তাদের এই অদম্য ইচ্ছার কাছে। আর পাঁচজনের মতোই তারা স্বাভাবিকের মতো পরীক্ষা দিচ্ছে এবং আশানুরপ ফলও করবে তারা ভরসা রয়েছে শিক্ষকদেরও।