অরণ্যসুন্দরী ঝাড়গ্রাম, তপোবনের নিবিড়তায় মুগ্ধ পর্যটকেরা
Tourists are fascinated by the beauty of Jhargram, Tapoban

Truth of Bengal : সময় পেলেই পর্যটকেরা মনের চাহিদা পূরণে ছুটে যান নানান প্রান্তে। সেরকম একটি জায়গা ঝাড়গ্রামের তপোবন। ঝাড়গ্রামের এই জায়গাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রকৃতির অপার দান। সব থেকে বড় বিষয় রামায়ণের সঙ্গে এই তপনের যোগ রয়েছে।
ধর্মীয় মাহাত্ম্য এর পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে বলে মনে করেন বহু পর্যটক। রামলালার দুই পুত্র লব এবং কুশের জন্ম এক্ষেত্রেই হয়েছিল এবং এখানে বাল্মিকী মুনির বসবাস ছিল যেখানে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন সীতা। নানা কাহিনী এই ক্ষেত্রকে ঘিরে জনমানসে প্রচলিত রয়েছে।
ঝাড়গ্রাম থেকে ৬৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নয়াগ্রামের এই তপোবন। ওড়িশা সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত এটি। রয়েছে সীতানালা, সীতা কুণ্ড, হলুদ কুণ্ড, ঋষি বাল্মিকির সমাধিস্থল। ভক্তি নিয়ে এসব জায়গা দর্শন করেন পর্যটকেরা। শান জঙ্গল ঘেরা এই এলাকায় হাতির তাণ্ডব লক্ষ্য করা যায় সব সময়। ফলত এখানে যেসব পর্যটকেরা যান তারা বিশেষভাবে সতর্ক থাকেন বন্যপ্রাণীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য। এই চত্বরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় বহু হরিণ।
জনপ্রিয় এই পর্যটন কেন্দ্রে বছরের সারা বছরই প্রায় ভিড় লেগে থাকে। দেশের নানান প্রান্তের ভ্রমণ পিপাসুরা। এই চত্বরে এসে লব কুশের জন্মস্থান থেকে শুরু করে সে তার ব্যবহার্য সব জিনিসপত্র ঘুরেফিরে দেখতে চান। কলকাতা থেকে ট্রেনে ঝাড়গ্রাম এর দূরত্ব ১৫৪ কিলোমিটার। ঝাড়গ্রামে পৌঁছানোর জন্য প্রতিদিন সকাল ৬:৫০ এ হাওড়া থেকে ইস্পাত এক্সপ্রেস ছাড়ে ।