
Truth of Bengal: গভীর জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে শিবের মন্দির। চারপাশে সারি সারি গাছ। একটু সামনের দিকে এগিয়ে গেলেই দেখা যায় ধীর গতিতে বয়ে চলেছে টিপুখোলা নদী। এই নদীর নাম অনুসারেই জায়গার নাম টিপুখোলা। শিলিগুড়ি থেকে একটু দূরেই রয়েছে এই জায়গা।
চারপাশে ঘনজঙ্গল, আশেপাশের পরিবেশ এতটাই শান্ত যে পা দিয়ে হেঁটে গেলে শোনা যায় পায়ের শব্দ। এই সবুজে ঘেরা জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে ধীর গতিতে বয়ে চলেছে একটি ছোট্ট নদী অথবা খোলা। এই নদী টিপুখোলা নামে পরিচিত। নদীর নাম অনুসারে এই জায়গাটির নাম হয়েছে টিপুখোলা ।
শিলিগুড়ি থেকে কয়েক হাত দূরেই রয়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা এই মনোরম জায়গা। দূরদূরান্ত পর্যন্ত যে দিকেই চোখ যায় না কেন শুধুই দেখা যায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি গাছ। কান পাতলেই সেই গাছের ডালে বাসা বেঁধে থাকা অজানা পাখিদের ডাক শুনতে পাওয়া যায়। জঙ্গল থেকে মাঝে মধ্যেই বেরিয়ে আসে হাতির দল, দেখা যায় হাতি শাবকও যার দৌরাত্ম্য দেখে দূর থেকে আনন্দ পাবেন আপনি।
যাতে বন্য জন্তুরা সহজে লোকালয়ে না ঢুকতে পারে তারজন্য বিদ্যুতের তার দিয়ে বেড়া দেওয়া আছে এখানে। শিলিগুড়ি বাসিরা মাঝে মধ্যেই এই নির্জন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পিকনিক করতে আসেন নিজেদের মন ভালো করার জন্য। যদি ভাগ্য ভালো থাকে তাহলে দেখতে পাওয়া যায় ময়ূরের দল।
বৃষ্টি পড়লেই মনের আনন্দে পেখম মেলে নেচে ওঠে তারা। এখানে ছোট একটি সাঁকো রয়েছে। যে সাঁকোর নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে টিপুখোলা নদী। পর্যটকেরা এই টিপুখোলায় এসে নদীতে নেমে স্নান করে থাকেন। আবার এখানে এসে নদীতে অনেকে মাছও ধরে থাকেন। তবে সন্ধ্যে হওয়ার পর আর এই জঙ্গলে বেশিক্ষণ না থাকায় ভালো কারণ, সরু হয়ে আঁকাবাঁকা বেঁকে যাওয়া নদীতে স্নান করতে আসে হাতির দল। তাই সারাদিন এখানে পিকনিক করে সন্ধ্যের দিকে পৌঁছে যান কন এক লোকালয়ের ঠিকানায়।
এখানে ছোট ছোট অনেক দোকান আছে, রয়েছে সুস্বাদু মোমোর দোকানও। এই জায়গার কাছেই রয়েছে জংলি বাবার শিব মন্দির। এই মন্দির রয়েছে একেবারে জঙ্গলের মধ্যে। শিবরাত্রির দিন এই মন্দিরে ঢলে পড়ে ভক্তদের ভিড়। সেই সময় মেলাও বসে এই মন্দির চত্বরে। সামনেই আসছে শীতের মরশুম, এই মরশুমে ১ থেকে ২ দিনের জন্য ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন টিপুখোলা থেকে।