
The Truth of Bengal: টেরাকোটা নামটা কী শোনা শোনা লাগছে? এই নামটা শুনলেই প্রথমেই মনে পড়ে বাঁকুড়ার কথা তাই তো? তবে জানেন কী বাঁকুড়া ছাড়া আর কোথায় অমন নিপুন টেরাকোটা দেখতে পাওয়া যেতে পারে? বাংলার মধ্যেই এমন আরও একটি জায়গা হল নদীয়া জেলা। একদিনের ছুটি নিয়ে এখানে বেড়াতে আসলে আপনি দেখাতে পাবেন সেই প্রাচীন মন্দিরের সৌন্দর্য। এখানে রয়েছে একটি চাকদহ পালপাড়ার সুপ্রাচীন টেরাকোটা মন্দির। এই পালপাড়াতেই রয়েছে একটি সুপ্রাচীন চারচালা মন্দির।
যে মন্দিরটির বয়স প্রায় ৫০০ বছর বলে অনুমান করা হয়। দক্ষিণমুখী এই মন্দিরের উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট। যেমন বৃহৎ আয়তন তেমনই পোড়ামাটির অলঙ্করণের নৈপুণ্য। মন্দিরটির প্রতিষ্ঠা ফলক না থাকায়, মন্দিরটি কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বা এই মন্দিরে কোন দেবতা পূজিত হতেন সেই সম্পর্কে সঠিকভাবে কিছুই জানা যায় না। বর্তমানে ওই টেরাকোটার সেই সুপ্রাচীন ভাষ্কর্য শুধুমাত্র প্রবেশদ্বারের খিলানের ওপরেই দেখা যায়। এই প্রবেশ পথের ওপরেই রয়েছে বাম রাবনের যুদ্ধের খচিত দৃশ্য।
বাঁদিকে ধনুর্বাণধারী রাম ও বানরসেনা আর ডান দিকে রাবন ও তার রাক্ষস বাহিনী। রামায়নের যুদ্ধদৃশ্য অত্যন্ত উচ্চশ্রেণীর নৈপুণ্যে টেরাকোটা ভাষ্কর্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মন্দিরের পিছনের দেওয়ালে এখন শুধুমাত্র কিছু পোড়ামাটির ভাষ্কর্যের পদ্মফুল দেখা যায়। একটা দিন হাতে সময় নিয়ে এখানে আসতে হলে আপনাকে শিয়ালদহ থেকে পালপাড়াগামী ট্রেন ধরতে হবে। সেই স্টেশনে নেমে কোন টোটোকে মন্দিরের কথা বললেই তারই আপনাকে নিয়ে যাবে সেই মন্দিরে। এছাড়া আপনি চাইলে স্টেশন থেক হেঁটেও যেতে পারেন।
Free Access