প্রস্তর যুগের ইতিহাসের নিদর্শন,পাণ্ডব পুত্র ভীমের নামে ভীমবেটকা
Bhimbetka, named after Bhima, the son of Pandavas, is a sign of Stone Age history

Truth of Bengal: ভারতের প্রাচীন ইতিহাসের নিদর্শন পাওয়া যায় এখানে। জায়গাটি হল মধ্যপ্রদেশের রায়সেন জেলার বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত ভীমবেটকা। যেখানে আদিম মানবের খোদাই করা নানা চিত্র আঁকা রয়েছে। যারা ইতিহাস ভালোবাসেন তাঁদের কাছে এই জায়গা স্বর্গস্বরূপ। ছোটো থেকেই আমরা ইতিহাসের বইতে পড়ে এসেছি আদিম যুগে মানুষ কথা বলতে পারত না, তারা নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করত ইশারার মাধ্যমে। একটু সময় পেরনোর পর তারা পাথর দিয়ে গুহার বিভিন্ন দেওয়ালে নানা রকম ছবি এমনকি অক্ষর লিখতেও শিখেছিলেন।
গুহা বা পাথরের মধ্যে থাকা এই সব চিত্র আর অক্ষর দেখেই বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছিলেন এই আদিম মানবের অস্তিত্বের কথা। আমাদের দেশেই এমন অনেক প্রাচীন গুহা রয়েছে যেখানে হদিশ পাওয়া গেছে আদিম মানুষের এঁকে যাওয়া নানা চিত্র। প্রস্তর যুগের সেই রকম এক গুহা হল ভীমবেটকা। যা অবস্থিত মধ্যপ্রদেশে। এই গুহার খোঁজ মিলেছিল ১৯৫৭ সালে। ২০০৩ এ ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসাবে নির্বাচিত হয় ভীমবেটকা।
পুরো গভীর জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত এই প্রাচীন গুহা। গুহার দেওয়ালে যে সমস্ত ছবি গুলি খোদাই করে আঁকা রয়েছে সেইগুলি হল বাইসন, বাঘ, গণ্ডার, মানুষ ও শিকারের দৃশ্য, কাঁটাওয়ালা বর্শা, ছুঁচলো লাঠি, পাখি, নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র, পুরুষের কাঁধে মৃত জন্তু আরও কত কি। এই গুহা চিত্রের সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে স্পেন ও ফ্রান্সে দেখা গুহাচিত্রের। অনেকের মতে এই ভীমবেটকার সঙ্গে যোগ রয়েছে মহাভারতের। ভীমবেটকা নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পাঁচ পাণ্ডবের দ্বিতীয় ভাই শক্তিশালী ভীমের ইতিহাস।
পাণ্ডবদের বনবাসকালে এখানে পাথরের আসনে বসতেন তিনি। আর তারপর থেকেই এই জায়গার নাম রাখা হয় ভীমবেটকা। এই ভীমবেটকা আসলে অবস্থিত মধ্যপ্রদেশের রায়সেন জেলার বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণ ঢালে। এই গুহার দক্ষিণ দিকে অবস্থিত সাতপুরা পর্বতের একের পর এক শৈলশ্রেণী। ভোপাল শহর থেকে ভীমবেটকার দূরত্ব ৪৫ কিলোমিটার। তাই ট্রেনে কিংবা ফ্লাইটে ভোপাল পৌঁছে সেখান থেকে গাড়ি করে পৌঁছনো যায় ভীমবেটকা।