
The Truth of Bengal: নির্জনতা জিনিসটা ক্রমেই উধাও হয়ে যাচ্ছে। বিশেষত, নাগরিকদের জীবনে। তাই কয়েকদিনের ছুটি নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন চালসায়। চালসায় গেলে দেখতে পাবেন প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য। পাহাড়, চা-বাগান আর নদী দেখতে পাবেন প্রাণভরে। ব্রিটিশ আমল থেকেই পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাতিমান চালসা। ব্রিটিশরা চালসাকে বলতেন ডুয়ার্সের রানি। একনজরে দেখে নিন কীভাবে যাবেন চালসায়।
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে যেতে পারেন চালসায়। এছাড়া বাগডোগরা এয়ারপোর্ট হয়েও যেতে পারেন। কলকাতা থেকে সড়কপথেও চালসায় যাওয়া যায়। এছাড়া ট্রেনে গেলে চালসা স্টেশনে নামতে হবে। আর শিলিগুড়ি থেকেও চালসা যাওয়ার গাড়ি রয়েছে।চালসায় গেলে অবশ্যই দেখে আসবেন দুটি অভয়ারণ্য। এই দুটি অভয়ারণ্যের মধ্যে রয়েছে জাতীয় উদ্যান এবং চাপড়ামারি অভয়ারণ্য। এই দুই অভয়ারণ্যই পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ।
চালসা দিয়ে ডুয়ার্সে প্রবেশ করতে পারেন। সেই হিসেবে ডুয়ার্সের প্রবেশদ্বার বলতে পারেন চালসাকে। এবছর পুজোয় আপনার গন্তব্যের তালিকায় রাখতে পারেন চালসার নাম। সর্বশেষ জনগণনা অনুযায়ী, চালসার ২ দশমিক ৯৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় বসবাস করেন ৮ হাজার ৯৭৩জন। চালসা জলপাইগুড়ির মেটেলি ব্লকের মেটেলি থানার অন্তর্গত ব্লক সদর।
যদি আপনি কোচবিহার, জলপাইগুড়ি কিংবা আলিপুরদুয়ার ঘুরতে যান, সেক্ষেত্রে চালসা হয়েও যেতে পারেন আপনি। চালসায় গেলে দুটি নদীর রূপ আপনাদের মন ভোলাবে। এই দুটি নদী হল মূর্তি এবং ঝালং নদী। পর্যটকদের থাকার জন্যে সুব্যবস্থা রয়েছে চালসায়। থাকার জন্যে রয়েছে একাধিক হোটেল। এছাড়া আছে হোম স্টে। তবে আগে থেকে হোটেলের ঘর বুক করে নেওয়াটাই সুবিধাজনক হবে।