‘যা চলছে তা কাঙ্ক্ষিত নয়, আমি ভাগ্যবান এখন সাংসদ নই’, সাসপেন্ড-প্রতিক্রিয়া মমতার
Mamata banerjee

The Truth of Bengal: ‘যা চলছে তা কাঙ্ক্ষিত নয়। আমি ভাগ্যবান আমি এখন আমি সাংসদ নই’। তৃণমূল কংগ্রেসের ৯ জন-সহ বিরোধী ৩৩ জন সাংসদকে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। লোকসভা থেকে একসঙ্গে এত জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে এই মুহূর্তে দিল্লিতে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে যখন বঙ্গ ভবনে যখন দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন এই ঘটনা ঘটে। তারপর তিনি বলেন, ‘যা চলছে তা কাঙ্ক্ষিত নয়। আমি ভাগ্যবান আমি এখন আমি সাংসদ নই।‘
গত কয়েক দিনের মতো সোমবারও সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধী সাংসদরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তৃতার মাঝেই সবাই একযোগে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। শাসক ও বিরোধীপক্ষের তুমুল চিৎকার শুরু হয় সংসদ কক্ষে। স্পিকার ওম বিড়লা প্রথমে দুপুর ২টো ৪৫ মিনিট, পরে তিনটে পর্যন্ত সভার কাজ মুলতুবি করে দেন। তাতেও বিরোধীরা অনড় থাকায় ৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। চলতি শীতকালীন অধিবেশনে আর থাকতে পারবেন না সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা।
সংসদের ইতিহাসে একসঙ্গে এত সাংসদকে সাসপেন্ড করার ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন। এই ঘটনায় বিরোধীদের দাবি, গণতন্ত্রের পীঠস্থান থেকে বিরোধীদের শূন্য করে দেওয়ার ছক করছে শাসকপক্ষ। সংসদ হানার ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করায় রাজ্যাসভার ১৪ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সেই ঘটনা নিয়ে এখনও বিতর্ক অব্যাহত। এরই মধ্যে এবার লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল মোট ৩৩ জন সাংসদকে। যা নিয়ে বিতর্ক চরমে।
সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকায় সবচেয়ে বেশি আছেন বাংলার সাংসদ। কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরির পাশাপাশি আছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল মণ্ডল, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল, অসিত মাল ও শতাব্দী রায়। সাসপেন্ড হয়েছেন ডিএমকে-এর তিন সাংসদ টিআর বালু, এ রাজা এবং দয়ানিধি মারান। চলতি অধিবেশনে লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট ৪৬ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল।