
The Truth of Bengal,Mou Basu: আচ্ছা যদি জিজ্ঞাসা করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে ছোট্ট দেশ কোনটা? বলতে পারবেন? বেশির ভাগ মানুষই হয়ত বলবেন উত্তরটি হবে, ভ্যাটিকান। কিন্তু উত্তরটি ভুল। আসল উত্তর হল, সিল্যান্ড। ইংল্যান্ড থেকে কিছু দূরে নর্থ সি’র ওপর অবস্থিত সিল্যান্ড হল বিশ্বের সবচেয়ে ছোট্ট দেশ। নামেই স্পষ্ট, চারিদিকে সমুদ্র দিয়ে ঘেরা এই দেশ।কিন্তু তফাৎ একটা আছে। বিশ্বের সবচেয়ে ছোট্ট দেশ হিসাবে ভ্যাটিকানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি রয়েছে। কিন্তু সিল্যান্ডের সেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই।সরকারি নাম ”Principality of Sealand”। বিশ্বের সবচেয়ে ছোট্ট এই দেশে মানুষ থাকে মেরেকেটে জনা ২৭। ইংল্যান্ডের উপকূল থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে নর্থ সি’র ওপর রয়েছে সিল্যান্ড নামক দেশটি। কাঁটাতারের বেড়া নয় চারিদিকে রয়েছে সমুদ্রের হাতছানি। দেশটির আয়তন মেরেকেটে ৫০০ বর্গ মিটার।
ছোট্ট দেশ হলেও সিল্যান্ডের রয়েছে আলাদা সেনাবাহিনী, মুদ্রা ও প্রশাসন।জমি জায়গা নেই এদেশে। সমুদ্রের ওপর খাড়া রয়েছে একটি প্ল্যাটফর্ম। তারওপর রয়েছে একটা কন্টেইনার। এনিয়ে গড়ে উঠেছে সিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের উপকূল থেকে কিছুদূর এগোলে নৌযান থেকে দেখা যায় সিল্যান্ড। নর্থ সি’র ওপর গড়ে ওঠা এদেশের নেই কোনো প্রধানমন্ত্রী। তবে আছে এক রাজা ও রানি।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সিল্যান্ড গড়ে ওঠে ব্রিটিশদের হাত ধরে। হিটলারের নাৎসি বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে নর্থ সি’র ওপর সিল্যান্ডকে গড়ে তোলে ব্রিটিশরা। সেনাবাহিনী ও ব্রিটিশ নৌবাহিনীর দুর্গ হিসাবে ব্যবহার করা হত। ইংল্যান্ডের জলসীমার বাইরে অবস্থিত সিল্যান্ড।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৩ সালে নর্থ সি’র ওপর ব্রিটিশ সরকার maunsell fort বা অস্থায়ী সশস্ত্র টাওয়ার হিসেবে গড়ে তোলে HM Fort Roughs কে। হিটলারের সেনার বিরুদ্ধে ডিফেন্স করা দেশকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়। ১৯৫৬ সালে এসব অস্থায়ী টাওয়ারকে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় ব্রিটিশ প্রশাসন। কিন্তু কোনো ভাবে সিল্যান্ড যেখানে গড়ে উঠেছে সেই অস্থায়ী টাওয়ার ভেঙে ফেলা হয়নি।১৯৬৭ সালে সিল্যান্ডের মালিক ছিলেন প্যাডি রয় বেটস নামক এক ব্যক্তি। তিনি পাইরেট রেডিও ব্রডকাস্টারদের কাছ থেকে সিল্যান্ডকে অধিগ্রহণ করে পৃথক দেশ হিসাবে ঘোষণা করেন। তবে গত ৫৪ বছর ধরে আলাদা দেশ হলেও যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করার কাজ করে চলেছে সিল্যান্ড।