অফবিট

ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজো, এই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর তাৎপর্য কী জানেন?

Do you know the significance of Lakshmi Puja at home, this Kojagari Lakshmi Puja?

Truth Of Bengal: বুধ ও বৃহস্পতিবার দুদিনই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। ঘরে- ঘরে লক্ষ্মী আরাধনার এই প্রথা রয়েছে বাংলায়। কেন কোজাগরী লক্ষ্মী বলা হয় জানেন কী  ?এই আরাধনার পিছনে কী ধর্মীয় তাত্পর্য রয়েছে, জানেন কী? শাস্ত্রবিদরা কী ব্যাখা দেন, সেকথা একনজরে দেখা যাক।

দুর্গাপুজো মেটার পরই লক্ষ্মীপুজোর আয়োজনে ব্যস্ত আমবাঙালি। লক্ষ্মীকে ধন্ও সৌভাগ্যের দেবী বলা হয়। তাই ভাগ্য ফেরানোর জন্য ও সম্পদের কামনা করে বারোয়ারি থেকে বাড়ি,সব জায়গাতেই  কোজাগরি লক্ষ্মী পুজোর আয়োজনে ঘটা দেখা যাচ্ছে। বিশ্বাস করা হয়, লক্ষ্নী ৬টি গুণের অধিকারী। তিনি বিষ্ণুর শক্তির উত্স। কেউ কেউ বলেন, বিষ্ণু রামও কৃষ্ণ রূপে যখন আবির্ভূত হয়েছিলেন তখন তাঁদের সঙ্গ দেন লক্ষ্মীদেবী। ত্রেতায় তিনি সতী আর দাপটে তিনি রাধা রূপে এসেছিলেন। বিশ্বাস করা হয়, নারায়ণের সঙ্গে লক্ষ্নীর পদার্পণ হলে গৃহস্থের সুখ-সমৃদ্ধির মতোই ঐশ্বরিক আর্শীবাদও ষোলোআনা মেলে।

মর্ত্যের বাসিন্দারা স্বর্গীয় সুখ ঐশ্বর্যের অংশীদার হন। এবার আসা যাক,কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো কেন বলা হয়? কোজাগরী শব্দটি এসেছে  কো জাগর্তি থেকে। অর্থাৎ কে জেগে আছেন রাতে তা লক্ষ্মীদেবী মর্ত্য ভ্রমণ করে দেখেন। রাত জেগে যাঁরা ভক্তি ভরে পুজোপাঠ করেন,তাঁদের দেবী মনবাঞ্চা পূরণ করেন বলে বিশ্বাস করা হয়। অনেকে বলেন সারারাত যাঁরা সবকিছু ছেড়ে পুজোয় মগ্ন থাকেন,তাঁদের ঘরে লক্ষ্মীর পদচিহ্ন পড়ে। শাস্ত্রমতে,যেহেতু তিনি রজগুণের প্রতীক তাই, ধনলক্ষ্নী লাভ ও সৌভাগ্য ফেরানোর  এই সাধনায় বঙ্গবাসী বরাবরই মেতে ওঠেন। অনেকে মনে করেন, লক্ষ্মীকে সাত্তিকভাবে পুজো করা দরকার। কারণ লক্ষ্নীকে আমিষ দেওয়া উচিত নয়। তাই লক্ষ্মীপুজোয়পায়েস,নারকলে ও তিলের নাড়ু, খিচুড়ি ভোগ দেওয়া হয়।

রীতি মেনে  কেউ কেউ আবার পুজোর দিন বাড়িতে জোড়া ইলিশও খান। পূর্ণ ভক্তিতে দেবী আরাধনার মতোই জমিয়ে আহারের চল রয়েছে বাংলার ঘরে ঘরে। রওএবার বুধ ও বৃহস্পতিবার লক্ষ্ণীপুজো। গুপ্ত প্রেস মতে, বুধবার সন্ধে ৭টা ৪২ মিনিট পড়বে পূর্ণিমা তিথি। পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ১৭মিনিট পর্যন্ত থাকবে পূর্ণিমা। অন্যদিকে  বিশুদ্ধ সিদ্ধান্তের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার রাত ৮টা ৪১ মিনিটে কোজাগরি তিথি পড়ছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে ৫৬মিনিটে শেষ হবে এই পূর্ণিমা। তাই ধর্মীয় রীতি মেনে পুজোপাঠের যে রীতি রয়েছে তা পালন করতে আগ্রহী গৃহলক্ষ্মীরা। সবার একটাই কামনা লক্ষ্মীলাভ বাড়ুক তাঁদের ঘরে,হাতে ভরে উঠুক নগদ নারায়ণ। যাতে দুঃখকষ্টের অবসান হয়ে দিনবদলের স্বপ্ন সফল হয়।

Related Articles