কলকাতা

Police Statement: “আক্রান্ত হওয়ার কথা নয়”, নির্যাতিতার মায়ের আহত হওয়ায় কেন বললেন মনোজ ভার্মা

লালবাজারের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মনোজ ভার্মা জানান যে পুরো ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে এবং সমস্ত ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Truth Of Bengal: দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে এখনো তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বিশেষ করে নির্যাতিতার মায়ের উপর পুলিশের লাঠির আঘাতের ফলে কপাল ফুলে যাওয়া এবং অবস্থান বিক্ষোভে বসে অসুস্থ হয়ে পড়া পরিস্থিতিকে আরও জটিল ও চাঞ্চল্যকর বানিয়ে তুলেছে। কিন্তু আদৌ কি নির্যাতিতার মাকে পুলিশ আঘাত করেছিল? এবার এই সংক্রান্ত প্রশ্নের যাবতীয় সব উত্তর দিলেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ ভার্মা (Police Statement)।

লালবাজারের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মনোজ ভার্মা (Police Statement) জানান যে পুরো ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে এবং সমস্ত ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা কিছু বলতে পারব না যতক্ষণ না সবরকম ফুটেজ দেখা হচ্ছে। তবে আক্রান্ত হওয়ার কথা নয় নির্যাতিতার মার। খুবই দুঃখজনক এটা। ওনারা অভিযোগ করেছেন যে পুলিশ ওনাদের মেরেছেন। সেটা ঠিক কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কোন অভিযোগ আসে ওনাদের তরফ থেকে, তাহলে নিশ্চয়ই তদন্ত হবে। গতকাল থেকেই তদন্ত করছি আমরা।”

প্রসঙ্গত, আরজি কর হত্যাকাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগে, বিচারের দাবিতে, নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন নির্যাতিতার পরিবার (Police Statement)। তার আগের রাতে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফ থেকে একটি মশাল মিছিল বার করা হয়। শ্যামবাজারে একটি সভা হয় এবং সেখান থেকে এই ঘটনা নিয়ে একাধিক কথাবার্তা তুলে ধরা হয়। অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার, ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, নবান্ন অভিযানে নামেন নির্যাতিতার পরিবার থেকে শুরু করে বিরোধী দল ও সাধারণ মানুষের একাংশ। যদিও বিজেপি ছাড়া অন্য কোন বিরোধীকে সক্রিয়ভাবে আন্দোলন করতে দেখা যায়নি। সাঁতরাগাছি ও পার্ক স্ট্রিটের অবস্থা ছিল ভয়াবহ। বিশেষ করে ব্যস্ত পার্ক স্ট্রিটের রাস্তা এক আলাদা রূপে পরিণত হয়েছিল আন্দোলনের জেরে। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি লাগে। পুলিশের লাঠিচার্জ যে আহত হন কয়েকজন। অনেককে আটক পর্যন্ত করা হয়। তবে নির্যাতিতার মার কপাল ফুলে যায় পুলিশের লাঠির আঘাতে। পরের রেসকোর্সের পাশে অবস্থানে বসে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বড়সড় অভিযোগ তোলেন পুলিশের বিরুদ্ধে।

Related Articles