
The Truth of Bengal: চলো ঘুরে দেখি কলকাতা। তিনশো বছর পার করা এই শহরের আনাচে কানাচে লুকিয়ে রয়েছে বহু ইতিহাস ও ঐতিহ্য। একই কোলে বাস করছে নানা সংস্কৃতি। যদিও তারা নিজস্ব স্বতন্ত্র ঘরানাকে বজায় রেখেছে। উত্তর কলকাতা জুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক দেখার জায়গা। তার মধ্যে অন্যতম পরেশনাথ জৈন মন্দির।
মন্দিরটি জৈন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম তীর্থ স্থলও বলা যায়। মন্দিরের জনপ্রিয়তা পরেশনাথ মন্দির হলেও এটি শীতলানাথজির নামে উৎসর্গ করা হয়েছে। শীতলানাথ জি ছিলেন জৈনদের ১০ম তীর্থঙ্কর। ১৮৬৭ সালে রাউ বদ্রীদাস বাহাদুর মুকিম এই মন্দিরের নির্মাণ করেন। প্রাঙ্গনে মোট ৪টি মন্দির রয়েছে।
প্রধান মন্দিরের দক্ষিণে রয়েছে চন্দ্র প্রভুজীর মন্দির। উত্তর দিকে আছে মহাবীর মন্দির। প্রধান মন্দিরের ডানদিকে যে মন্দিরটি আছে সেখানে, জৈন দাদাজী গুরু এবং কুশলজী মহারাজের পদচিহ্ন পুজা করা হয়ে থাকে। এই মন্দির চত্বরে রয়েছে একটি সুন্দর সাজানো গোছানো বাগান।
মন্দিরের চত্বরে দেখা মেলে গ্লাস মোজাইক, ইউরোপীয় মূর্তি, এবং কয়েকটি ফোয়ারা। মন্দিরের সূক্ষ্ম কারুকার্য মনকে ভুলিয়ে দেবে। প্রধান মন্দিরটিতে জৈন ১০ম অবতার শীতলানাথ জির মূর্তি রয়েছে। মূর্তির বিশেষ আকর্ষণ হল, ভাস্কর্যের কপালে একটি হীরে বসানো রয়েছে। আর এই মূর্তির সামনে একটি ঘিয়ের বাতি জ্বলে, যা ১৮৬৭ সাল থেকে সমানে জ্বলছে।
মন্দির খোলা থাকে
সকাল ৬.00 টা থেকে ১১.00 টা পর্যন্ত এবং বিকেল সাড়ে ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৭.00 টা পর্যন্ত। এখানে কোনও প্রবেশমূল্য নেই।
এই মন্দিরে যাবেন কী করে ?
উল্টোডাঙা / শ্যামবাজার – ৫ পয়েন্ট ক্রসিং / শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বাস এ করে গৌরীবাড়ী বা বঙ্গিয় সাহিত্য পরিষদ স্টপেজে নামতে হবে, সেখানে থেকে মিনিট পাঁচেকের হাঁটা পথ। মেট্রো করে যেতে চাইলে, নামতে হবে শ্যামবাজার বা শোভাবাজার স্টেশনে। সেখান থেকে গোরীবাড়ির অটো মেলে।