
নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতায় গ্রিন মিশনে এক কোটি চারাগাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেছে পুরসভা। সবুজের ঘনত্ব বাড়িয়ে শহরকে দূষণমুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে কলকাতাকে সবুজায়ন করার পথে হাঁটছে পুরসভা। মহানাগরিকের কথামতো কাজ চলছে। ঠিক কত গাছ লাগানো হয়েছে তার তথ্যপ্রকাশ করল পুরসভা। বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিতেই শ্বেতপত্র প্রকাশ বলে মেয়র জানিয়েছন।
এওয়ান সিটি কলকাতা। এই শহরকে সবেতেই এগিয়ে নিয়ে যেতে বহুমুখী ভাবনা নিয়েছে পুরপ্রশাসন।দূষণের হাত থেকে শহরবাসীকে বাঁচাতে লাগানো হচ্ছে গাছ। নিত্যনতুন কায়দায় সবুজায়নের পরিকল্পনা করছে পুরসভা। ঠিক হয়েছে, শহরের উড়ালপুলগুলির তলায় সবুজের গালিচা তৈরি করা হবে। তার জন্য ইতিমধ্যে একটি রোডম্যাপ তৈরি হয়েছে। মূল লক্ষ্য, কংক্রিটের জঙ্গলের মাঝেই দৃষ্টিনন্দন সবুজের সমাবেশ বাড়ানো। ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসেবে রবীন্দ্রসদন-নন্দনের সামনে থেকে বেকবাগান পর্যন্ত এজেসি বোস রোড উড়ালপুলের তলায় ‘গ্রিন বাফার জোন’ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বৃক্ষরোপনের মূল উদ্দেশ্য গাছের সংখ্যা বাড়ানো। ৬মাসে গাছের সংখ্যা দারুণভাবে বেড়েছে।এরপর আরও গাছের সমারোহ বাড়িয়ে দূষণ কমানোর মহতি চিন্তাভাবনার কথাও পুরকর্তারা তুলে ধরছেন।লক্ষ্য একটাই জিরো পলিউশন নীতি কার্যকর করা।
তবে শুধুমাত্র গাছ লাগালেই হবে না। নিয়মিত তার রক্ষণাবেক্ষণও প্রয়োজন। পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, প্রকল্পের আওতায় বৃক্ষরোপণের পর নিয়মিত পরিচর্যায় শুরু থেকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যেভাবে শহরের বিভিন্ন মিডিয়ান স্ট্রিপে লাগানো গাছের পরিচর্যার দায়িত্ব একাধিক সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে, সেভাবেই উড়ালপুলের তলার ‘বাফার জোন’ দেখভালের জন্য সংস্থা নিয়োগ করা যেতে পারে।
এক নজরে কলকাতার গ্রিন মিশন-
কলকাতায় ১ কোটি গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা পুরসভার
কলকাতার ৩০কিমি পথে সবুজের বাহার বাড়ানো হয়েছে
উড়ালপুলের নীচের অংশকে দৃষ্টিনন্দন উপায়ে সাজানো হচ্ছেগ্রিন মিশনের কাজে স্বচ্ছতা রাখতে শ্বেতপত্র প্রকাশ মেয়রের