ভয়ঙ্কর ঘটনা শহরের বুকে, স্যুটকেস বন্দি মহিলার দেহ
Horrific incident in the heart of the city, headless body trapped in a suitcase!

Truth Of Bengal : হাড়হিম করা ঘটনা শহরের বুকে। স্যুটকেসের মধ্যে ভরা রয়েছে এক মহিলার দেহাংশ। আর সেই স্যুটকেস বন্দি দেহাংশ ফেলতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক ২ জন মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার আহিরীটোলা ঘাটে।
মঙ্গলবার সকাল ৭ টা নাগাদ দুই মহিলা স্যুটকেস বন্দি দেহাংশ নিয়ে আসে আহিরীটোলা ঘাটে। সেই সময় ঘাটের তালা খুলতে আসেন এক মহিলা সাফাই কর্মী। ওই সাফাই কর্মী দেখতে পায় দুই মহিলা হাতে ট্রলিব্যাগ নিয়ে নামছে ট্যাক্সি থেকে। প্রথমে ট্যাক্সি ওয়ালার সঙ্গেও ভাড়া সংক্রান্ত তাদের বাকবিতণ্ডা হতে দেখা যায়, পরে ট্যাক্সি ওয়ালাকে ভাড়া মিটিয়ে যখন ওই ট্রলিব্যাগ তুলে আনছিল তখনই তাদের দেখে সন্দেহ হয় ওই মহিলা সাফাই কর্মীর।
সাফাই কর্মীর মতে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল ওই স্যুটকেস বন্দি ব্যাগটি যথেষ্ট ভারী। তারা দু জন মিলেও সেই ব্যাগ ঠিকমত তুলতে পারছিলনা। সাফাই কর্মীর সন্দেহ হতেই ঘাটে যোগা করতে আসা বেশ কয়েকজনকে ওই দুই মহিলার উপর নজর রাখার কথা বলেন। বাকিদের সহযোগিতায় পুলিশ ফাঁড়িতেও ফোন করে বিষয়টি জানান হয়।
পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ কর্মী এসে ওই দুই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওই দুই মহিলা প্রথমে আমতা আমতা করে বলে এই ট্রলিব্যাগের মধ্যে ভরা আছে একটি ল্যাব্রাডর কুকুর। এর পরেও স্থানীয়দের সন্দেহ মন থেকে দূর হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে ওই দুই মহিলা একে অপরের মা ও মেয়ে। ধৃত দুই মহিলার নাম ফাল্গুনী ঘোষ ও তাঁর মা আরতি ঘোষ। স্থানীয় এবং পুলিশের চাপে পরে ওই মহিলা জানায় এর মধ্যে তার মেয়ের ননদের দেহ আছে, শ্বশুরবাড়ির চাপে পড়ে তার মেয়ের ননদ নাকি গায়ে আগুন ঢেলে আত্মহত্যা করেছে। এইভাবে নানা ধরণের কথা দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করলেও শেষমেশ পুলিশ ওই দুই মহিলাকে আটক করে।
স্থানীয়দের মতে পুলিশ আসার পর স্যুটকেস খোলা হয়, আর তার পরেই মাথায় হাত স্থানীয়দের। ওই বাক্সের মধ্যে দেখা গিয়েছে এক মহিলাকে টুকরো করে কেটে সেখানে ভরা রয়েছে, আর সেই দেহ লোপাটের চেষ্টা করছিল ওই মা এবং মেয়ে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে নীল বাক্স বন্দি ওই স্যুটকেসের মধ্যে ভরা রয়েছে ফাল্গুনী ঘোষের পিসিশাশুড়ি। মৃত সেই মহিলার নাম সুমিতা ঘোষ। মধ্যমগ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে এই নির্মম ঘটনা ঘটিয়েছে মা এবং মেয়ে বলে মনে করছে পুলিশ। পুলিশ আরও জানিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার কাজীপাড়া থেকে কলকাতার পার্ক সার্কাস পর্যন্ত ট্রেনে করে ওই দুই মহিলা এসেছে । তার পরেই তাদের পরিকল্পনা ছিল ওই ব্যাগভর্তি দেহ ভাসিয়ে দেবে গঙ্গায়। যে কারণে তারা ট্যাক্সি করে আহিরীটোলা ঘাটে এসে পৌঁছয়। তবে কি কারণে মা এবং মেয়ে ওই মহিলাকে খুন করেছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।