
The Truth of Bengal,Mou Basu: সিটি অফ জয় হোক কিংবা কল্লোলিনী তিলোত্তমা। যে নামেই ডাকা হোক না কেন সবেতেই অনন্য আমাদের অতি প্রিয় শহর কলকাতা। এই শহরের “লাইফ লাইন” বলা চলে অটোকে। এবারের পুজোয় তিন চাকার এই যানের গপ্পো শোনাচ্ছে হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব। ৮১তম বছরে হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব কমিটির থিম “তিন চাকার গপ্পো”। সামগ্রিক ভাবনা রাজু সরকারের। প্রতিমা গড়েছেন দীপেন মণ্ডল। আবহ তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন শাঁওলী মজুমদার। আলোর দায়িত্বে রয়েছেন সাধন পাড়ুই।পুজো কমিটির কর্মকর্তা সহসম্পাদক সায়নদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, এবারের পুজোয় আমাদের থিম তিন চাকার গপ্পো।
সিটি অফ জয় কলকাতা বিশ্বের অন্য শহরের মতোই প্রচণ্ড গতিশীল। ঘড়ির কাঁটার আগে দৌড়নো এই শহরে ব্যস্ত সমস্ত হয়ে প্রত্যেকেই ছুটে চলেছে নিজের নিজের গন্তব্যে। অগাদ মনের ইচ্ছে ও বাসনা নিয়ে নিরন্তর ছুটে চলেছেন অটো চালকরাও।তাঁদের তিন চাকার যান অটো নিয়ে। অদম্য মানসিক শক্তির অধিকারী অটো চালকরা পিছিয়ে যাওয়া শেখেননি। সংসারে কারোর ছেলে, কারোর দাদা বা ভাই, কারোর স্বামী বা কারোর বাবার দায়িত্ব নিখুঁত ভাবে পালন করার পাশাপাশি আরো একটা দায়িত্ব পালন করেন তাঁরা, তা হল অটো চালকেরও। অটোরিকশা চালকদের আমরা ডাকি অনেক নামেই। যেমন, ও কাকু, এই অটো, দাদা-আরো অনেক কিছুই। ছেঁড়া কাঁথায় শুয়েও স্বপ্ন দেখা থামান না অটোচালকরা।
প্রখর রোদের দাবদাহ ভেদ করে, বৃষ্টির জল উপেক্ষা করে, কনকনে শীতের হাওয়া উপেক্ষা করে শহরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে চলেন অটো চালকরা। এবারের পুজোয় আমরা ট্রিবিউট জানাচ্ছি অটো চালকদের।”কলকাতা পৌর নিগমের কর্মচারীদের আয়োজিত হাজরা পার্কের পুজো এবার ৮১তম বছরে পড়ল। ১৯৪২ সালে পুজো প্রথম শুরু হয় ভবানীপুর অঞ্চলে। ১৯৪৫ সাল হাজরা পার্কে সরে আসে। এই পুজো বাংলায় প্রথমবার জাতপাতের ও ধর্মান্ধতার ঊর্ধ্বে উঠে হরিজনদের পুজোয় অংশ নেওয়ার অধিকার দেয় বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। এই পুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনিই এই পুজোর প্রধান উপদেষ্টা।
Free Access