কলকাতা

২১ দিনের কন্যসন্তানকে বিক্রি! জালে পাচারচক্রের চার মহিলা

Child Trafficking

The Truth of Bengal:  কথায় আছে, কু-সন্তান যদিও হয় কু-মাতা কভু নয়। কিন্তু না, প্রবাদ সব সময় সত্যি হয় না। গর্ভজাত সন্তানকে বিক্রি করার একাধিক ঘটনা ঘটেছে গত কয়েকদিনে। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তর ২৪ পানিহাটিতে। তার কয়েকদিন পর সোনারপুরের খেয়াদহেও ঘটেছিল একই ঘটনা। এবার ২১ দিনের কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। খাস কলকাতায় এমন ঘটনা সামনে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ, ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিজের কন্যাসন্তানকে বিক্রি করে দেন অভিযুক্ত মা। ঘটনায় মঙ্গলবার অভিযুক্ত মা-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিক্রির পর হাত বদল হয়ে যাওয়া শিশুকন্যাটিকে বেহালা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

যার বিরুদ্ধে নিজের সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, সেই রূপালি মণ্ডলের বাড়ি আনন্দপুরের নোনাডাঙা কলোনি এলাকায়। আর যিনি শিশুটিকে কিনেছিলেন সেই কল্যাণী গুহ থাকেন বেহালার পর্ণশ্রী থানার সাতগ্রাম এলাকায়। আনন্দপুরের রূপালির সন্তান কীভাবে বিক্রি হল পর্ণশ্রীর কল্যণীর কাছে? ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর বিষয় জানতে পেরেছে। জানা গিয়েছে, একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে ওই শিশুটি হাতবদল হতে হতে কল্যাণী গুহর কাছে পৌঁছয়।

আনন্দপুরের বাসিন্দাদের দাবি, অভিযুক্ত মহিলা তিন শিশুকে নিয়ে নোনাডাঙা কলোনির একটি বাড়িতে একাই থাকত। তিন জনকেই সন্তান হিসেবে জানত এলাকার লোকজন। কিন্তু কয়েক দিন ধরেই তার সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্দেহ বাড়লে স্থানীয়দের কয়েক জন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর একে একে চক্রের বাকিদের সন্ধান পায় পুলিশ। ধৃতরা হল পাটুলির রূপা দাস, স্বপ্না সর্দার, হরিদেবপুরের পূর্ণিমা কুণ্ডু ও বেহালার লালতী দে। তবে এই চারজন নয় পেছনে আরও বড় চক্র থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই চক্রের টার্গেট মূলত ফুটপাথের শিশুরা। কলকাতা সহ জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ফুটপাতের শিশুদের তুলে এনে দালালের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।

 

Related Articles