কলকাতা

খুনের পর কসাই দিয়ে আলাদা করা হয় সাংসদের দেহের হাড়-মাংস! গ্রেফতার সেই কসাই

Bangladesh mp murder

The Truth of Bengal: বাংলাদেশের সাংসদ খুনে চাঞ্চল্যকর মোড়। গ্রেফতার এক কসাই। সাংসদকে খুনের পর সেই দেহ টুকরো টুকরো করে কাটার কথা স্বীকার করেছে বলে জানা যাচ্ছে। ধৃত কসাইয়ে নাম জিহাদ হাওলাদার। সে বাংলাদেশের নাগরিক। অনুপ্রবেশকারী হিসেবে সেই মুম্বইয়ে বাস করত। ঘটনার তদন্তে ওই কসাইকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

জানা যাচ্ছে, সাংসদ খুনের মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান ওই কসাইকে দু’মাস আগে কলকাতায় নিয়ে আসে। তার পর বাংলাদেশের সাংসদকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। আগেই আখতারুজ্জামান জেরায় স্বীকার করেছে, নিউটাউনের ফ্ল্যাটে চারজন মিলে সাংসদকে খুন করে। সেখানেই তাঁর দেহ কেটে টুকরো টুকরো করা হয়। এরপর সেই দেহাংশ একাধিক বড় ব্যাগে ভরে কলকাতার একাধিক এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। কথায় কঠা সেই দেহাংশ ফেরা হয় এখন তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদারকে আজ বারাসত আদালতে তোলা হবে।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। প্রথমে তিনি উঠেছিলেন বরানগরের এক বন্ধুর বাড়িতে। সেখান থেকে দু’দিন পর নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে ১৮ মে নিখোঁজ ডায়েরি করেন ওই বন্ধু। সাংসদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বাঙ্গালদেশ সরকার যোগাযোগ করে ভারত সরকারের সঙ্গে। তার পর সাংসদের খোঁজ শুরু হয়। ব্যারাকপুর ও বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ হানা দেয় নিউটাউনের একটি আবাসনে। জনা যায় সেখানে খুন হন ওই সাংসদ। প্রমাণ লোপাটের জন্য কসাই দিয়ে সাংসদের হাড়-মাংস আলাদা করে সেই দেহাংশ ফেলে দেওয়া হয় নিউটাউনের বিভিন্ন জায়গায়।

Related Articles