কলকাতা

ট্রেন না মিললেও, বিকল্প উপায়ে দিল্লি যাওয়ার বার্তা অভিষেকের

যাঁরা কলকাতায় এসেছেন তাঁদের সকলকে দিল্লি যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে

The Truth of Bengal: ট্রেন পাওয়া যাবে না, চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবু হাল ছাড়তে নারাজ। বিকল্প ব্যবস্থা করেই দিল্লিতে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারম সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

১০০ দিনের কাজের টাকা, বাংলার মানুষের হকের টাকা। সেই অর্থ বন্ধ করে দিয়ে প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করছে। এই অভিযোগ বারবার তোলা হয়েছিল। কিন্তু গুরুত্ব দেয়নি কেন্দ্র সরকার। দিল্লির কর্তাদের ঘুম ভাঙাতে, ১ লক্ষ কর্মীদের নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ ও ধর্না দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন।  পরে সেই পরিকল্পনা বদল এনে ১০ হাজার মানুষকে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।

দিল্লি যাত্রার জন্য রেলের কাছে বিশেষ ট্রেনের আবেদনও করা হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবারই রেলকর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, যেমন ট্রেন চাওয়া হয়েছে, এই মুহূর্তে তেমন বগিযুক্ত ট্রেনের ব্যবস্থা করতে পারছে না। এরপরেই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন তৃণমূলকর্মী সমর্থকেরা। রেলের এই আচরণকে আবার ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছে, এটা ভেবেই ভালো লাগছে, যে বাংলার এক যুবনেতা অভিষেককে যে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত ভয় পাচ্ছেন। ভয় যদি না পেত, তাহলে এই ধরণের আচরণ করত না। বারবার আটকানোর চেষ্টা করা হত না।

শুক্রবার রাতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ট্রেন না মিললেও, বিকল্প উপায়ে দিল্লি যাওয়া হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত হুংকারের সুরেই জানান, শনিবারই বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে, যাঁরা কলকাতায় এসেছেন তাঁদের সকলকে দিল্লি যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। একটা সাধারণ মানুষের গায়ে যদি কোনও বিজেপি শাসিত রাজ্যে হাচত পড়ে, তাহলে ছেড়ে কথা বলবে না তৃণমূল।

সূত্রের খবর, জবকার্ড হোল্ডার ও দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ৫০টি ভলভো বাসের ব্যবস্থা করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। তার জন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে দলের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

Related Articles