আন্তর্জাতিক

লোক চক্ষুর আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে পিরামিড! কী এর বিশেষত্ব?

Pyramid

The Truth of Bengal: ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা পাহাড় ঘেরা অঞ্চল। স্থানীয় বসুন্ধরা মনে করেন এটি একটি পবিত্র স্থান। আবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন মাটির নিচে লোক চক্ষুর আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে এখানে একটি বিশাল পিরামিড। যা মিশরের পিরামিডগুলি থেকেও নাকি পুরনো। সম্ভবত মানুষের তৈরি সবচেয়ে প্রাচীন পিরামিড মেগালিথিক। এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি ‘আর্কিওলজিক্যাল প্রসপেকেশন’ এ প্রকাশিত হয়েছে। নাম গুনুং পাডাং। স্থানীয় বসুন্ধরা এই ধরনের স্থাপত্যকে বলেন পাণ্ডেন বেরুনডাক। এই কথার অর্থ ধাপে ধাপে ওঠা পিরামিড।

বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী খ্রিস্টের জন্মেরও হাজার হাজার বছর আগেই ওই জায়গায় পিরামিড তৈরি হয়েছিল। এর ভেতরে রয়েছে বৃহদাকার গুপ্ত কক্ষ। যদিও এখনো সে বিষয়ে সবটাই অজানা রয়েছে। স্থানীয় ভাষায় গুনুং পাডাং এর অর্থ জ্ঞানের পাহাড়। প্রত্নতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের পর বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন কোন এক প্রাচীন মানব সভ্যতা আগ্নেয় পাথর তৈরি পাহাড়ের গা কেটে কেটে স্থাপত্য তৈরি করা হয়েছিল। দীর্ঘ গবেষণা এবং প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষণের পরে সম্পূর্ণ রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার, ‘ন্যাশনাল রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন এজেন্সি’।

২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রত্নতত্ববিদ, ভূতত্ত্ববিদ, ভূ পদার্থবিদদের একটি বিশেষ স্থলে এই অভিযান চালায়। এরপরই হয় বিশ্লেষণ। এই দলের যিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অর্থাৎ ভূ-ত্ববিদ ড্যানি হিলম্যান নাটাউইদজাজা। তিনি জানিয়েছেন এর সবথেকে গভীর অংশ মাটির নিচে ৩০ মিটার নিচে রয়েছে। পিরামিডের কেন্দ্রস্থল এ খ্রিস্টপূর্ব ২৫ হাজার থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১৪ হাজার বছরের মধ্যে তৈরি। বর্তমানে পিরামিডের উপরিভাগের এই অংশ বর্তমানে কিছুটা হলেও দৃশ্যমান।

Free Access

Related Articles