আন্তর্জাতিক

ভারতে বড় আকারের হামলা চালাতে ব্যর্থ হয়েছে আইএস: জাতিসংঘ রিপোর্ট

ISIS failed to carry out large-scale attacks in India: UN report

Truth Of Bengal: জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ভারতে বড় আকারের হামলা চালাতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে তারা ভারতে থাকা সমর্থকদের মাধ্যমে একক হামলার (lone-actor attacks) জন্য উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

জাতিসংঘের ৩৫তম বিশ্লেষণী সহায়তা ও নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণ দলের (Analytical Support and Sanctions Monitoring Team) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএস এবং আল-কায়েদার মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলি বহিরাগত চাপে মানিয়ে নিতে সক্ষম এবং সংগঠনের কাঠামো কম কেন্দ্রীভূত হওয়ায় তাদের কার্যক্রম এখনও হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে।

ভারতে হামলা চালানোর চেষ্টা

প্রতিবেদন অনুসারে, আইএসের ভারত-ভিত্তিক সমর্থকদের উসকানি দেওয়ার কাজ চালিয়ে গেছে প্রো-আইএস মিডিয়া “আল-জওহার মিডিয়া”। এই সংগঠনটি “সেরাত উল-হক” নামে একটি প্রকাশনার মাধ্যমে ভারত-বিরোধী প্রচারণা চালিয়েছে।

আফগানিস্তানে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী কার্যক্রম

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে দুই ডজনেরও বেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সক্রিয়, যা পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। যদিও তালেবান আইএস-কে (Islamic State-Khorasan Province, ISIL-K) দমন করার জন্য কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে, তবুও এটি আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে থেকে গেছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস তার প্রতিবেদনে বলেছেন, “আফগানিস্তান আবার সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে, যা গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। সকল সদস্য রাষ্ট্রকে একত্র হয়ে এটি প্রতিরোধ করতে হবে।”

মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় আইএস-কে’র বিস্তার

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইএস-কে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের কার্যক্রম বৃদ্ধি করছে এবং বিশেষত উত্তর আফগানিস্তান থেকে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর জন্য হুমকি তৈরি করছে। সংগঠনটি তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, এবং অন্যান্য মধ্য এশীয় দেশগুলোর নাগরিকদের নিয়োগ করছে এবং তাদের আফগানিস্তানে নিয়ে যাচ্ছে।

সন্ত্রাসীরা তুরস্কের ভান প্রদেশ ও ইরানের ওরুমিয়া, মাশহাদ, জাহেদান হয়ে আফগানিস্তানের হেরাত ও নিমরোজ প্রদেশে প্রবেশ করছে।

তালেবান ও আল-কায়েদার সম্পর্ক

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, আল-কায়েদা তালেবানের অনুমোদনে আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণ শিবির ও নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলেছে। এছাড়া, পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (TTP)-কে তালেবানরা সহায়তা করছে, যা এই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়ে, তাহলে এটি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করতে পারে।

Related Articles