
The Truth of Bengal: আট মাস আগে তফশিলি তকমা ঘিরে মতবিরোধের জেরেই মণিপুরে ছড়িয়ে পড়েছিল মেইতেই-কুকিদের মধ্যে সংঘাত। যা থেকে গোটা রাজ্য জুড়ে হিংসার ঘটনা চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছিল। সেই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের জেরে নতুন করে অশান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছিল। গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন –এর কর্মসূচী ঘিরে মণিপুরে সূত্রপাত হয় অশান্তির।
মণিপুর হাইকোর্টের তরফ থেকে তফশিলি জনজাতিদের মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোেধীতায় একযোগে পথে নামে। সংঘাতের সূচনা সেখান থেকই। তবে মাঝে দিন কয়েক শান্তি বজায় থাকলেও। মণিপুর নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আবারও। সে রাজ্যের বিষ্ণুপুর ও চূড়াচাঁদপুর জেলার কুমিবি বিধানসভা কেন্দ্রে দুপক্ষের মধ্যে চলে গুলি চলার ঘটনা।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ঘটনার জেরে এখমনও পর্যন্ত নিখোঁজের সংখ্যা দাঁড়ায় চার। জানা যায়, ওই চার জন কাছের একটি জঙ্গলে কাঠ কাটতে গিয়েছিলেন। বেশিরবাগেরই আশঙ্কা ওই চারজনই দুজনের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন। চার জনকেই সনাক্ত করে পুলিশ জানতে পেরেছে তাদের নাম, দারা সিং, ইবোমচা সিং, রোমেন সিং, আনন্দ সিং। তবে প্রশাসন আরও জানিয়েছে, বিষ্ণপুর জেলার হাওতাক গ্রামে একদল দুষ্কৃতী হানা দেওয়ায় নিরাপত্তার কারণে ১০০ জন মহিলা ও শিশু গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়।