আবগারি মামলায় জামিন কেজরিওয়ালের, সিবিআইকে ‘তোতাপাখি খোঁচা’ সুপ্রিম কোর্টের
Kejriwal's bail in excise case, Supreme Court 'parrots' CBI

Truth Of Bengal : আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় জামিন পেলেন কেজরিওয়াল। শুক্রবার শীর্ষ আদালত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ১০লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন দেয়। ইডির- মামলায় জামিন পাওয়ার পরেও কেন কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার সেই প্রশ্ন তোলেন সূর্য কান্তও উজ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ। বিচারপতিদের কড়া বার্তা, খাঁচাবন্দি তোতাপাখির তকমা ঘোচাতে হবে সিবিআইকে। আসলে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে সিবিআইকে স্বাধীন সত্তা বজায় রাখার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন বিচারপতিরা,মত পর্যবেক্ষকদের।
আবগারি দুর্নীতি নিয়ে ইডির দায়ের করা মামলায় আগেই জামিন পেয়েছিলেন কেজরিওয়াল,এবার সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলাতেও মুক্তি পেলেন তিনি। শুক্রবার সূর্যকান্তও উজ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ কেজরিওয়ালকে ১০লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেন।গত ২১ মার্চ আবগারি বেনিয়মের মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন অরবিন্দ।তারপর তিনি সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন।সেই প্রসঙ্গ তুলে বিচারপতিরা জানতে চান, ইডির মামলায় জামিনের পরেও কেন কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার ?এই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি সর্বোচ্চ আদালত সিবিআইকে তিরস্কার করে।সেসময় সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী যুক্তি দেন, নিম্ন আদালতে আবেদন না করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন।উল্লেখ্য, আবগারি মামলায় সিবিআইয়ের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যান কেজরিওয়াল।
জামিন চেয়ে প্রথমে তিনি দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।এরপরই তিনি সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন।গত ৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি শেষ হয়। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ রায়দান স্থগিত রাখেন। শুক্রবার সেই রায় ঘোষণা করা হয়। যেখানে কেজরিওয়ালকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়।নির্দেশে বিচারপতিরা স্পষ্ট বলেছেন,জেল থেকে বেরোনোর পর তিনি কোনও ফাইলে সই করতে পারবেন না।নিজের দফতরেও বসতে পারবেন না।প্রকাশ্যে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য থেকে বিরত থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের তরফে।
এদিকে, সুপ্রিমকোর্ট কড়া বার্তা দেয় সিবিআইকে। বিচারপতিদের মন্তব্য,খাঁচাবন্দি তোতাপাখি তকমা ঘোচাতে হবে সিবিআইকে। আইনজীবীরা মনে করছেন,কেজরিওয়াল সহ ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা বারবার অভিযোগ করেছেন,রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সিবিআই কাজ করছে।বিরোধীদের ইচ্ছা করে হেনস্থা করছে বলেও সরব হন আম আদমি পার্টি সহ অবিজেপি দলগুলোর নেতারা। সেই অভিযোগের মাঝে সুপ্রিমকোর্টের এই স্বাধীনভাবে কাজ করার পরামর্শ বিশেষ তাত্পর্য বহন করছে বলে আইনজ্ঞদের অভিমত।