
The Truth Of Bengal: ধর্ষণকাণ্ডে নয়া মোড়।এবার প্রজ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে জারি হল গ্রেফতারি পরোয়ানা।বেঙ্গালুরুর এমপি-এমএলএ আদালত যৌন হেনস্থা কাণ্ডে বিজেপি ঘনিষ্ঠ রেভান্নার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এর মধ্যে যৌন হেনস্থার ঘটনায় প্রজ্বল রেভান্নার মতোই তাঁর বাবা এইচ ডি রেভান্নার বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে।প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার পুত্র এইচ ডি রেভান্না।তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে।৭দিনের জেল হেফাজতে ছিলেন তিনি।পরে জামিনে মুক্ত হন।
এবিষয়ে উল্লেখ্য, প্রজ্বলের বিরুদ্ধে ৩মহিলা যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন।এমনকি এক মহিলা অভিযোগ করেছেন তাঁকে জীবনের ভয় দেখিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।বিজেপি সমর্থিত হাসনের জেডিএস প্রার্থী প্রজ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে ৩টি এফআইআর দায়ের হয়েছে।ঘটনার তদন্ত করতে গড়া হয়েছে সিট।সিটের তরফে জানা গেছে, ৮ মে বেঙ্গালুরুতে তৃতীয় এফআইআর দায়ের করা হয়। ধর্ষণের পাশাপাশি ভয় দেখানো, ধর্ষণের ভিডিয়ো করে রাখার মতো গুরুতর অভিযোগও করেছেন অভিযোগকারিণী।ফেরার নেতাকে ধরার জন্য পুলিশ তত্পরতা বাড়িয়েছে।বিজেপি ঘনিষ্ঠ এই প্রার্থীর হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভোট প্রচার করেন বলে দাবি করে বিরোধীরা।
বিজেপির অস্বস্তি তাই এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর কয়েকগুণ বাড়ল বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। সম্প্রতি কর্নাটকের জেডিএস সাংসদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারির অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সিট। আদালত অনুমতি দিতেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হল রেভান্নার বিরুদ্ধে। এদিকে নাতির কাণ্ডকারখানা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া।তাঁর মতে “প্রজ্বলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেডিএসের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু রেভান্নার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে এবং কীভাবে মামলাটি তৈরি হয়েছে সে সম্পর্কে আসল ঘটনা জানতে পারা যাচ্ছে। একটি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন, অন্য মামলায়, পরবর্তীতে একটি রায় আছে । সেই ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করতে তিনি চান না বলে জানিয়েছেন যুক্তফ্রন্ট সরকারের সময় দায়িত্বে থাকা প্রাপ্তন প্রধানমন্ত্রী।