অনলাইন গেমের ফাঁদে পড়ে ভয়ঙ্কর পরিণতি ১৫ বছরের কিশোরের
A 15-year-old teenager falls into the trap of online games

The Truth Of Bengal: মহারাষ্ট্রের পুনেতে মর্মান্তিক ঘটনা। ১৪ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলো ১৫ বছর বয়সী কিশোর। আত্মহত্যার কারণ জানলে শিউরে উঠবেন আপনিও। অনলাইন গেম এর শেষ ধাপ সম্পূর্ণ করতে এই পদক্ষেপ দশম শ্রেণীর পড়ুয়ার। ২০১৭ সালে ব্যান করে দেওয়া ”ব্লু হোয়েল” গেমের স্মৃতি উস্কে দিলো এই ঘটনা। ২৬ জুলাই মধ্যরাতে পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ের কিওয়ালে এলাকায় ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা।
জানা যায় , মৃত পড়ুয়ার ঘর থেকে মিলেছে একটি কাগজ। সে কাগজে লেখা রয়েছে অ্যাপার্টমেন্ট ও গ্যালারি থেকে লাফ দেওয়ার কথা। পাশাপাশি লেখা রয়েছে “লগআউট”। গেমটির কোডিং ভাষায় লেখা আরও বেশ কিছু কাগজপত্রও উদ্ধার করেছে পুলিশ। অনুমান এই অনলাইন গেম এর সর্বশেষ ধাপ সম্পন্ন করতে এমন দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নিয়েছে মহারাষ্ট্রের ওই কিশোর। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার মামলা দায়ের করে গেমটির বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গেমটির নির্মাতা এবং জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। উমেশের কক্ষ থেকে বিল্ডিংয়ের তিনটি নকশা উদ্ধার করেছে পুলিশ। একটি মানচিত্রে কীভাবে আত্মহত্যা করতে হয় তাও উল্লেখ রয়েছে ।
পরিবার সূত্রে খবর, ১৫ বছর বয়সী উমেশ তার মা এবং ছোট ভাইয়ের সাথে থাকতেন পুনের একটি অ্যাপার্টমেন্টে। মৃত কিশোরের বাবা নাইজেরিয়ায় কাজ করেন। ৬ মাস ধরে গেমে আসক্ত ছিল ওই পড়ুয়া। খাওয়া-দাওয়া ভুলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিজের কক্ষে বসে থাকত। একা একা কথা বলত। মধ্যরাতের দিকে সোসাইটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি মেসেজ এসেছিল। যেখানে লেখা ছিল, একটি শিশু ভবন থেকে নিচে পড়ে গেছে। মেসেজটি পড়েই উমেশের গেলে ছেলেকে দেখতে পান না মা। তারপর নিচে নেমে দেখেন পার্কিং লটে রক্তাত্ব অবস্থায় পড়ে রয়েছে উমেশ।
অনলাইন গেমগুলির নেতিবাচক প্রভাবগুলিকে আবারো তুলে ধরলো এই ঘটনা৷ একসময় ”ব্লু হোয়েল” গেমে আসক্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছিল বহু কিশোর। সেই ঘটনার স্মৃতি আবারো যেন উস্কে দিলো। যদিও ২০১৭ সালে ”ব্লু হোয়েল” গেম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে সরকার।