শিশুরাও হতে পারে ডিপ্রেশনের শিকার, নিজেকে রক্ষা করুন এভাবে
Kids bad Mental Health causes, symptoms and prevention

Truth Of Bengal, Barsa Sahoo : বর্তমান যুগে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতিও বড় হুমকি হয়ে উঠছে। বয়স্ক, যুবক বা শিশু, প্রত্যেকেই এক সময় বা অন্য সময়ে দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্যের সম্মুখীন হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, নষ্ট জীবনযাপন, অপ্রয়োজনীয় দুশ্চিন্তা, অন্যের মতো হওয়ার প্রতিযোগিতা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য নষ্ট করছে। এখন এর প্রভাব পড়ছে শিশুদের ওপরও। উদ্বেগের বিষয় হলো শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি শুরুতেই ধরা পড়ে না। এমন পরিস্থিতিতে লক্ষণগুলি ধীরে ধীরে গুরুতর হয়ে ওঠে এবং এটি বিষণ্নতার দিকেও যেতে পারে। এতে সন্তানের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। যাইহোক, কিছু পদ্ধতি দ্বারা এটি সহজেই সনাক্ত করা যেতে পারে।
যদি শিশুর আচরণ আগের তুলনায় পরিবর্তন হয়। যদি সে সব সময় খিটখিটে এবং দু: খিত হয়, তাহলে অভিভাবকদের এই দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এগুলো শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। এ কারণে শিশু শুরুতে দুশ্চিন্তার শিকার হতে পারে। সব সময় উদ্বেগ বা নার্ভাসনেস থাকতে পারে। যদি এই সমস্যার চিকিৎসা না করা হয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি বিষণ্নতার দিকেও যেতে পারে। বিষণ্নতা একটি বিপজ্জনক অবস্থা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা আত্মহত্যার কারণও হয়ে দাঁড়ায়। শিশুরাও বিষন্নতার শিকার হতে পারে। বিশেষ করে যেসব শিশু ফোনে গেম খেলে এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বেশি সময় কাটায় তাদের এই সমস্যা হতে পারে।
কিভাবে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখা যায়
ভুবনেশ্বরের মণিপাল হাসপাতালের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের ডাঃ এসএ ইদ্রিস বলেন যে আজকের সময়ে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া জরুরি। একজন অভিভাবক বা পিতামাতা হিসাবে, শিশুদের একটি অনুকূল পরিবেশ প্রদান করা আমাদের দায়িত্ব। একই সময়ে, আপনি আপনার সন্তানকে যে কোনও ক্ষতিকারক জিনিস (যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য নষ্ট করতে পারে) সম্পর্কে অবহিত করুন। উদাহরণস্বরূপ, সোশ্যাল মিডিয়াকে অতিরিক্ত ব্যবহার না করার এবং ঘন্টার জন্য মোবাইলে গেম না খেলার পরামর্শ দেওয়া উচিত। তাদের খেলাধুলার জন্য অনুপ্রাণিত করুন এবং সন্ধ্যায় কমপক্ষে এক ঘন্টা বাইরে খেলতে পাঠান।
চিকিৎসা কি
চিকিৎসকরা কাউন্সেলিং এবং থেরাপি বা ওষুধের মাধ্যমে মানসিক সমস্যার চিকিৎসা করেন, তবে এর জন্য শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের দুর্বলতার লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।