স্বাস্থ্য

গরমে টানা চলবে উপোস, কীভাবে শরীর ঠিক রাখবেন

Fasting will continue in summer, how to keep the body healthy

The Truth Of Bengal , Mou Basu : রবিবার নববর্ষের দিন পয়লা বৈশাখেই পড়েছে অশোক ষষ্ঠী। এরপর বাসন্তী পুজো, অন্নপূর্ণা পুজো ও রামনবমীর উৎসব আছে। বুধবার পর্যন্ত টানা উৎসব চলবে। মায়েরা সন্তানের মঙ্গল কামনায় অশোক ষষ্ঠী করেন। এদিন উপোস করে সন্তানের মঙ্গল কামনায় পুজো দেন মায়েরা। আবার অনেকেই বাসন্তী পুজো, অন্নপূর্ণা পুজো ও রামনবমীতে উপোস করে পুজো দেন। গত শুক্রবারই গেছে নীল ষষ্ঠী। অর্থাৎ টানা বেশ কয়েক দিন ধরেই উপোসের পর্ব চলছে। এই প্রবল গরমে উপোস করেও কীভাবে শরীর ঠিক রাখবেন তা জানাও কিন্তু জরুরি। উপোসের সময় এই গরমে যাতে শরীর থেকে জল বেশি বেরিয়ে গিয়ে ডিহাইড্রেশন না হয়ে যায় সেদিকে বিশেষ নজর রাখুন। আর্দ্র থাকার পাশাপাশি শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট বা নুন চিনির ভারসাম্য যাতে বজায় থাকে সেদিকে বিশেষ নজর রাখুন। যে সব খাবারে জলীয় পদার্থ আছে, খনিজ পদার্থ আছে, ভিটামিন আছে এমন খাবার বেশি করে খাবেন।

গরমে টানা উপোস করলে কীসের দিকে নজর দেবেন বেশি করে —
১) শরীর ঠান্ডা ও আর্দ্র রাখা জরুরি। তাই এসময় বেশি করে জল বা তরল পানীয় খাবেন। ডাবের জল, বেলের শরবত, টাটকা ফলের রস, চিনি ছাড়া চা (শুধু লিকার) খেতে পারেন।

২) উপোস ভাঙার পর ফল, সবজির তরকারি, হোল গ্রেন বা আটার রুটি, লুচি, পরোটা খান। সহজ পাচ্য খাবার খান যা সহজে হজম হয়। ধীরে সুস্থে চিবিয়ে খাবার খান। হড়বড় করে এক গাদা খাবার বেশি করে খেয়ে ফেলবেন না।

৩) শরীরের নাম মহাশয়। তাই শরীরের দিকে যত্ন দিন। শরীরের কথা শুনুন। শরীর খারাপ লাগলে, তেষ্টা বেশি পেলে, মাথা ঝিমঝিম করলে, মাথা ঘুরলে, দুর্বল লাগলে উপোস করবেন না দীর্ঘ সময় ধরে।

অনেকেই উপোস করেও অফিসকাছারি বা কায়িক পরিশ্রম করেন, তাঁরা কোন দিকে নজর দেবেন

১) হালকা সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরবেন।
২) উপোস ভাঙার পর বেশি পরিমাণে খাবার খাবেন না যাতে বদহজম আর পেট ফুলে যায়।
৩) বাইরে বেরলে রোদে চোখে রোদচশমা আর ছাতা ব্যবহার করবেন।
৪) ত্বকে সানস্ক্রিন লাগান।
৫) চা, কফিতে ক্যাফিন নামক পদার্থ আছে তাই বেশি করে চা, কফি খাবেন না।
৬) জল খান, মরসুমি ফল খাবেন।
৭) ভাজাভুজি খাবার খাবেন না। সফট ড্রিংকসে অতিরিক্ত চিনি থাকে তাই তা খাবেন না।

উপোস চলার সময় কী খাবার খাবেন —

১) দই বিশেষ করে টক দই এক শক্তিশালী প্রোবায়োটিক যা হজমে সহায়তা করে।
২) ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ ডাবের জল এনার্জি দেয়। শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট বা নুন চিনির ভারসাম্য বজায় রাখে।
৩) ভুট্টায় প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। এছাড়াও ভিটামিন এ, কে, বি আছে।
৪) টক দই ফেটিয়ে তৈরি ঘোল গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শরীর আর্দ্র রাখে।
৫) লেবুর শরবত শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
৬) ছাতুর তৈরি শরবত খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। এনার্জি পাওয়া যায় তেমনই প্রোটিন ও ফাইবার মেলে।
৭) লোহা আর ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ আম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৮) প্রচুর পরিমানে জলীয় পদার্থ আছে শশায় তাই তা শরীর ঠান্ডা ও আর্দ্র রাখে।
৯) এনার্জি পাওয়া যায় তরমুজ খেলে। আমলকি আর আঙুরে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে।

Related Articles