রাজ্যের খবররান্নাঘর

পর্যটকদের স্বাদপূরণ করছে দীঘার ফুচকাওয়ালা স্টল

Digha Fuchkawala Stall

The Truth of Bengal: নারী হোক বা পুরুষ,সবার কাছেই প্রিয় ফুচকা। মুখের টেস্ট ফেরাতে বা টক –ঝাল-মিষ্টির স্বাদবাহার বুঝতে রসিকরা এই স্ট্রিট ফুডের ওপরই ভরসা করেন। খাদ্যপ্রিয় মানুষ বলেন, দেশের  স্ট্রিটফুডের  তালিকায় সব থেকে বেশি জনপ্রিয় ফুচকা। টক-ঝাল-মিষ্টির মুখোরোচক খাদ্যের কোনও বিকল্প নেই, আসলে তার কোনো তুলনা নেই। বাংলায় যা ফুচকা,অন্য জায়গায় তার নানা নাম রয়েছে। অঞ্চল ভেদে কোথাও   পানিপুরি, কোথাও গোলগাপ্পা কোথাও আবার ফুলকি, ।আদপে  ময়দা এবং সুজির সংমিশ্রণে তৈরি, আলুর পুর সহযোগে টক-ঝাল-মিষ্টি জলে ভরা এই সুস্বাদু খাবার  আট থেকে আশি সকলে কাছেই খুব প্রিয়।দীঘার সমুদ্র সৈকতে ফুচকাওয়ালা স্টল থেকে দেদার বিকোচ্ছে হরেক ফুচকা।ফুচকার ফিউশন খাদ্যপ্রিয়দের পয়লা পছন্দ হয়ে উঠেছএ।

চিকেন ফুচকা থেকে দুই ফুচকা সবই সাদরে মুখে পুড়ছেন রসিকরা।কেউ কেউ বলছেন,আহারে সত্যিই বাহার আছে। খাবারে ফিউশনের কথা আগে শোনা গেছে।ফিউশন ফুডের কদরও বেড়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। সারা ভারতবর্ষজুড়ে এই ফুচকার খ্যাতি ছড়িয়ে রয়েছে, তার উৎপত্তি কবে এবং কোথায়? এই প্রশ্ন বরাবরই ফুচকা প্রেমীদের মাথায় ঘোরাফেরা করে। এর কোনও সঠিক জবাব নেই।পৌরাণিক কাহিনী  ঘাঁটলে ফুচকার উৎপত্তি সংক্রান্ত একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় গল্প পাওয়া যায়। মহাভারতের কাহিনী অনুসারে, ফুচকার আবিষ্কর্তা ছিলেন পঞ্চপান্ডবের স্ত্রী দৌপদী। হ্যাঁ, এই গুণবতী নারীই নাকি এমন মুখোরোচক খাদ্যদ্রব্য বানিয়ে ছিলেন তার পাঁচ স্বামীর জন্য।

কাহিনী অনুসারে, একদা পঞ্চপান্ডবের মাতা কুন্তী পুত্রবধূর রন্ধন ক্ষমতা বিচার করার জন্য তাকে কিছু ময়দা, আলু এবং সবজি দিয়ে খাবার বানানোর আদেশ দেন। সেই নির্দেশে দ্রৌপদী ময়দা এবং সুজি মিশ্রিত ছোট ছোট গোলার মধ্যে সবজির পুর ভরে বানিয়ে ফেলেন “ফুলকি”।পরবর্তী সময়ে সেই ফুলকিই ফুচকা বলে পরিচিতি পায় ভূভারতে।আর দিঘার ফিশ কাটলেট,ফিশ ফ্রাই.,চিলি চিকেনের সঙ্গে এই ফিউশন ফুচকা পর্যটকদের মন কাড়বে বলে আশা অনেকের। স্বাদে গন্ধে অপূর্ব নানা ফুচকা একছাতার তলায় পেয়ে বেজিয় খুশি পর্যটকরা।সৈকত শহরের মানুষ থেকে ভ্রমণপিপাসু সকলের মন ভরাচ্ছে এই স্পেশাল ডিশ

Related Articles