দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হলেন প্রবীণ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী
Veteran actor Mithun Chakraborty has been selected for the Dadasaheb Phalke Award

Truth Of Bengal : কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সোমবার X প্ল্যাটফর্মে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত জুরির নাম ঘোষণা করেছেন। ভারতীয় চলচ্চিত্রে প্রবীণ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিশিষ্ট অবদানের জন্য তাঁকে সম্মানিত করা হবে। আগামী ৮ অক্টোবর ৭০ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এই বিশিষ্ট অভিনেতাকে পুরস্কার প্রদান করা হবে।
Mithun Da’s remarkable cinematic journey inspires generations!
Honoured to announce that the Dadasaheb Phalke Selection Jury has decided to award legendary actor, Sh. Mithun Chakraborty Ji for his iconic contribution to Indian Cinema.
🗓️To be presented at the 70th National…
— Ashwini Vaishnaw (@AshwiniVaishnaw) September 30, 2024
একটি সিনেমাটিক আইকন
মিঠুন চক্রবর্তী, ১৬ জুন ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতীয় চলচ্চিত্রে একটি বিস্তৃত কর্মজীবন ছিল তাঁর। ২৭০ থেকে ৩০০ টিরও বেশি চলচ্চিত্রের একটি উল্লেখযোগ্য পোর্টফোলিও রয়েছে এই বিশিষ্ট অভিনেতার। ১৯৭৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র মৃগয়া দিয়ে তিনি সর্বপ্রথম ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। বাণিজ্যিক হিন্দি সিনেমার একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত মিঠুন। তিনি ভারতীয় সিনেমাকে বিদেশে বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপ এবং রাশিয়ায় জনপ্রিয় করে তোলেন। তাকে “ভারতীয় সিনেমার শেষ সুপারস্টার” উপাধিতে ভূষিত করেন।
অর্জন এবং স্বীকৃতি
মিঠুনের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের মধ্যে রয়েছে একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং এক বছরে সর্বাধিক চলচ্চিত্র মুক্তির জন্য একটি লিমকা ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। তিনি হিন্দি, বাংলা, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি এবং ভোজপুরি সহ বেশ কয়েকটি ভাষায় কাজ করেছেন। এছাড়াও নিজেকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে একজন সেলিব্রিটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
অভিনয়ের বাইরেও অবদান
অভিনয় জীবন ছাড়াও, মিঠুন চক্রবর্তী সক্রিয়ভাবে সামাজিক সেবায় জড়িত। বিশেষ করে থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তিনি সর্বদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি ৩০ বছর ধরে অ্যালাইড লেবার ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুম্বাইতে সিনেমা কর্মীদের কল্যাণের জন্য সমর্থনকারী সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (CINTAA) এর সভাপতির পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
সাংস্কৃতিক প্রভাব
মিঠুন চক্রবর্তীর গান, বিশেষ করে ডিস্কো ড্যান্সার ফিল্মের গান, আজও জনপ্রিয় হয়ে থাকবে। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় “জিমি জিমি” গানটি আবার জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। তার কর্মজীবনে, তিনি ফিল্মফেয়ার এবং স্ক্রিন পুরষ্কার সহ অসংখ্য পুরষ্কার পেয়েছেন। ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত হন তিনি। তিনি সক্রিয়ভাবে বিশ্বব্যাপী ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচার করেন।
মিঠুন ছোট এবং মাঝারি বাজেটের চলচ্চিত্র প্রচার করে চলচ্চিত্র শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। যার ফলে উচ্চাকাঙ্ক্ষী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে। তার প্রভাব যুবকদের মধ্যে আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ এবং ফিটনেস রুটিনে অনুপ্রাণিত করে।