অভাব ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী, ইটভাঁটার শ্রমিক-রাঁধুনির ছেলে এখন IPS অফিসার
What was lacking was a daily companion, son of a bricklayer-cook now an IPS officer

The Truth Of Bengal: লক্ষ্য ছিল একটাই, দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে জীবন সংগ্রামে উত্তীর্ণ হওয়া। দুবেলা দুমুঠ খাওয়ার জোটাতে আর সংসার চালাতে মা লোকের বাড়িতে রাঁধুনির কাজ আর বাবা ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। সেই দরিদ্র পরিবারের পুত্র মাত্র 22 বছর বয়সে UPSC সিভিল সার্ভিসে উত্তীর্ণ হয়ে আজ একজন সফল IPS অফিসার। কার কথা বলছি বলুনতো? কথা হচ্ছে সাফিন হাসান নামের এক লড়াকু ছেলের।
গুজরাটের কানোদর নামে ছোট্ট একটি গ্রামে পরিবারের সাথে বাস সাফিন হাসানের। গ্রামের স্কুলেই একাদশ-দ্বাদশে ওঠার পর চরম দারিদ্র্যতার মধ্যে পড়ে তাঁর পরিবার। অভাব ছিল তাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। স্কুলের ফি জমা দিতে পারতেন না তিনি। কিন্তু সাফিন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হওয়ায় তাঁর ফি নিতেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ। দ্বাদশে উত্তীর্ণ হওয়ার পর সাফিন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হলে তাঁর আত্মীয়রাই পড়াশুনোর সমস্ত খরচ চালাতেন।
এরপর ছেলের UPSC পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি চলাকালীন একটি ডায়মন্ড ইউনিটে চাকরি পায় সাফিনের মা বাবা। কিন্তু অল্প দিনের মধ্যে সেই চাকরি হারানোর ফলে সংসার চালাতে তার মা লোকের বাড়িতে রান্নার কাজ করতেন এবং বাবা ইটভাটায় কাজ করতেন। কিন্তু তাতেও সংসার না চলায় দম্পতি সেদ্ধ ডিম বিক্রি করতেন। এত দারিদ্রতার মধ্যেও হার মানেননি সাফিন। ২০১৭ সালে প্রথমবার UPSC পরীক্ষায় বসার দিনই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গুরুতর আহত অবস্থাতেই পরীক্ষার হলে পৌঁছে অসুস্থতার সাথে লড়াই করে পরীক্ষা সম্পন্ন করেন তিনি। পরীক্ষার শেষে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করান তার পরিবার। শারীরিক অসুস্থতার সাথে লড়াই করে পরীক্ষা দিয়েও সফল হননি তিনি। পরবর্তীকালে ফের সুস্থ হয়ে ২০১৮ সালে UPSC তে সর্বভারতীয় তালিকায় ৫৭০ এর র্যাঙ্ক করেন তিনি। বর্তমানে তিনি গুজরাটের জামনগর অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ পদে কর্মরত রয়েছেন।
FREE ACCESS