সম্পাদকীয়

উন্নয়নের কাজে দুই সরকারের দুই ভূমিকা

Two roles of two governments in development work

Truth Of Bengal: বিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়া থেকে কেউ বঞ্চিত থাকবে না। রাজ্যের সব বাড়িতে পৌঁছে যাবে জলের লাইন। ইতিমধ্যে সিংহভাগ মানুষের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে সংযোগ। সেই কাজে আরও গতি বাড়িয়ে দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর এখন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালিয়ে আসছে। তবে এই কাজে কেন্দ্রের অসযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা যাবে কিনা তা নিয়ে একটা সংশয় থেকে যাচ্ছে। এই প্রকল্পে কেন্দ্র ও রাজ্যের উভয়ের যৌথ উদ্যোগ রয়েছে। যদিও এই প্রকল্পের জন্য যে বাজেট ধরা হয়েছে সে তুলনায় বরাদ্দের ব্যাপারে কেন্দ্র অত্যন্ত ‘কৃপণ’ কেন্দ্র।

পরিসংখ্যান তাই বলছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, এই জল জীবন মিশন প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রে শেয়ারে মোট টাকার অঙ্ক ধরা হয়েছিল ৫০৪৯.৯৮ কোটি। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত বরাদ্দ করেছে মাত্র ২৫২৪.৯৯ কোটি। অর্থাৎ অর্ধেক টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। অন্যদিকে, একই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের শেয়ার অনুযায়ী ৪৯৯০.৫২ কোটি টাকা ধরা হয়েছিল যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার বরাদ্দ করেছে ৩৭৫৭.৪৫ কোটি টাকা।

শতাংশের বিচারে মোট প্রকল্প খরচের রাজ্যের শেয়ার অনুযায়ী বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৫ শতাংশেরও বেশি টাকা। অর্থাৎ রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় শেয়ারের বাইরে গিয়ে জল জীবন মিশন বা মুখ্যমন্ত্রীর জলস্বপ্ন প্রকল্পে অতিরিক্ত ১২৯১.৩৮ কোটি টাকা এখনও পর্যন্ত বেশি খরচ করেছে। এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট যে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে যে জনহিতকর প্রকল্পের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যের অগ্রগতি যথেষ্ট বেশি এবং জন উন্নয়নের ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদি সরকারের থেকে অনেকটাই এগিয়ে।

মানুষ নিজের বাড়িতে বসে পাবে সরকারের পাঠানো বিশুদ্ধ পানীয় জল। এটাই যখন চাওয়া তখন দুই সরকারের দুই ভূমিকা দেখা যাচ্ছে। বাংলার সরকার চায়, দ্রুত কাজ শেষ করতে। অন্যদিকে, নানা টালবাহানা করে নিজেদের ভাগের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। মানুষের কাজে কোনও সরকার কতটা আন্তরিক তা সামনে আসছে।

Related Articles