অফবিট

ফাঁসির আসামিদের কেন শেষ ইচ্ছা জিজ্ঞেস করা হয়?

Why is the death penalty asked the last wish?

The Truth Of Bengal :  ভারতের মধ্যে অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা হল মৃত্যুদণ্ড ফাঁসি দেওয়া। দোষ করলে তাকে একদিন না একদিন সাজা পেতেই হয়। যদি অপরাধের মাত্রা অতিরিক্ত থাকে তাহলে মৃত্যুদণ্ড কিংবা যাবজ্জীবন হতে পারে। আর তুলনামূলকভাবে কম অপরাধ করলে তার কয়েক হাজার কিংবা কয়েক লক্ষ টাকা জরিমানা এবং তার সাথে কয়েক বছরের জেল হতে পারে। আপনিও নিশ্চয়ই কোন সিরিয়াল বা চলচ্চিত্রে এই যাবজ্জীবন কিংবা মৃত্যুদণ্ডের ছবি কিংবা ভিডিও দেখেছেন। সেখানে যখন কোন ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তখন তার কাছ থেকে তার শেষ ইচ্ছে জানতে চাওয়া হয়।

কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কেন একজন বন্দিকে তার শেষ ইচ্ছে জিজ্ঞেস করা হয়?

আসলে ফাঁসি দেওয়ার আগে বন্দীর কাছ থেকে তার জীবনের শেষ ইচ্ছে জিজ্ঞেস করার এই প্রথাটি বহু শতাব্দী ধরেই চলে আসছে। কারণ প্রাচীনকালে মানুষেরা মনে করতেন কোন মানুষের মৃত্যুর আগে তার শেষ ইচ্ছে পূরণ না হলে তিনি নাকি আত্মা হয়ে চারিদিকে ঘুরে বেড়ান। তাই সেই পুরনো যুগ থেকেই শুরু হয়েছিল এই ধরনের রীতির প্রচলন যা আজও বহাল রয়েছে।

এ তো গেল প্রাচীনকালের প্রথা মানার কারণ। তবে জেলের নিয়ম অনুযায়ী বন্ধুদের কাছ থেকে তার শেষ ইচ্ছে পূরণের মত কোন বিধানের উল্লেখ নেই। কিন্তু ঐতিহ্য অনুযায়ী আজও বন্দীদের কাছ থেকে তার জীবনের শেষ ইচ্ছে জিজ্ঞেস করা বন্দীদের কাছ থেকে তার জীবনের শেষ ইচ্ছে জানতে চাওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রেও রয়েছে ইচ্ছের সীমাবদ্ধতা। হ্যাঁ শেষ ইচ্ছে হিসেবে একজন অপরাধী কেবল তিনটি ইচ্ছে পূরণ করতে পারবে।

১) যদি কোন ব্যক্তির শেষবারের মতো কোনো খাওয়ার ইচ্ছে হয় তাহলে জেল প্রশাসন সেই কয়েদির ইচ্ছে পূরণ করে।

২) বন্দী যদি নিজের পরিবারের সাথে শেষ বার দেখা করতে চায় তাহলেও জেল প্রশাসন তাকে তার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দেয়।

৩) আর অবশেষে যদি কোন কয়েদি বা অপরাধী শেষ ইচ্ছে হিসেবে তার ধর্মের কোন পবিত্র গ্রন্থ পড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে তাহলে সেই ইচ্ছেও পূরণ করে জেল প্রশাসন।

Related Articles