রাজ্যের খবর

লাগাতার প্রচারে ছিঁড়ে গেল চটির ফিতে, নিজের হাতে সেফটিপিন লাগালেন মমতা

Mamata put a safety pin on her own hand when the chatter belt was torn by continuous campaigning

The Truth of Bengal: তিনি আর পাঁচটা রাজনীতিকের থেকে একেবারেই আলাদা।হাওয়াই চটি আর সাদা শাড়ি পরে মিটিং-মিছিল থেকে প্রশাসনিক সভা সর্বত্র তাঁকে দেখা যায়।কখনই দামী পোশাক বা চমক সৃষ্টি করা কোনও আঙ্গিকে দেখা যায় না।বরাবরই সাদামাটা জীবন যাপন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েও চটি পরেই তিনি সবজায়গায় যান।প্রচারেও তাঁকে সেই চটি পরেই দেখা যাচ্ছে।শুক্রবার ঝাড়গ্রামের সভা চলাকালীন হঠাত্ তাঁর চটি ছিঁড়ে যায়।সেসময় তিনি নিজের হাতেই সেফটিপিন লাগিয়ে নেন।

ঝাড়গ্রামের ভরামঞ্চে প্রচারের মাঝেই নিজের কাজ নিজে করেন তিনি। অতীতে মায়াবতী তাঁর জুতো আনার জন্য ব্যক্তিগত জেট বিমান পাঠান মুম্বইতে।  ২০১১ সালে এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা হয়েছিল দেশে। এমনি তার জীবন যাত্রা ছিল এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়। জয়ললিতা যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন তাঁর শাড়ি আনা হয়েছিল বিমানে। ক্ষমতায় দেখে রাজকীয় জীবনযাপনের লোভ কিছুতেই ছাড়তে পারেন না অনেক নেতা-নেত্রী বা মন্ত্রীরা। এমনকি ভিনরাজ্যের বহু মুখ্যমন্ত্রী বিলাসিতায় জীবন কাটালেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যে সেপথে হাঁটেন না তা আরও একবার প্রমাণ হল বলে জঙ্গলমহলের মানুষ মনে করছেন। গান্ধিবাদী দর্শনকে সম্মান জানিয়ে তিনি যে  সিম্পিল লিভিং হাই থিংকিং বা সাধারণ জীবনযাপন করে উন্নত চিন্তাধারা বজায় রাখতে চান বলে বারবার বার্তাও দিয়েছেন।এটাই আসলে মমতার ইউএসপি বলেও রাজনৈতিক মহলে চর্চা চলে। বলা যায়, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় হোক,জঙ্গলমহল যেখানেই যান সেখানেই মানুষের মাঝে মিশে গিয়ে তাঁদের মনের মানুষ হয়ে ওঠেন।এদিন তিনি কথা দেন,আদিবাসী মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রয়োজনে সাঁওতালি ভাষা শিখবেন।

Related Articles