
The Truth of Bengal: ভাওয়াইয়ার সুরে বাংলা মাত করেছেন কোচবিহারের মাথাভাঙার শিল্পী গীতা রায়বর্মণ।এবার সেই শিল্পী জাতীয় স্তরে সাম্মানিত হলেন। পেয়েছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। মূলতঃ ভাওয়াইয়া নিম্ন-অসম ও উত্তরবঙ্গের প্রাণের গান, মাটির গান। মূলতঃ বাথান সংস্কৃতির অঙ্গ এই ভাওয়াইয়া সঙ্গীত। ‘ভাওয়া’ শব্দ থেকে ভাওয়াইয়ার উৎপত্তি। ‘ভাওয়া’ মানে গোচারণভূমি। এই গোচারণভূমি কেন্দ্রিক গানই ভাওয়াইয়ায় রূপ পেয়েছে। ভাওয়াইয়া লোকসঙ্গীত। ভাওয়াইয়ার জগতে বিচরণ করতে গেলে প্রথমেই মনে পড়ে আব্বাসউদ্দিন আর নায়েব আলির কথা। সেই তালিকায় কৃতিত্বের ছাপ রাখলেন কোচবিহারের মাথাভাঙার শিল্পী গীতা রায়বর্মণ।এবার পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন তিনি।
পুরস্কারের পালক খ্যাতির মুকুটে যুক্ত হওয়ায় গর্বিত এই মাটির জগত থেকে উঠে আসা শিল্পী। রং পুরের তিস্তাপারের সুর এখনও তাঁকে প্রেরণা জোগায়। পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম নির্বাচিত হওয়ায় সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন মাথাভাঙ্গা শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ভাওয়াইয়া সংগীত শিল্পী গীতা রায় বর্মন। মাথাভাঙ্গা থেকে এই প্রথম পদ্মশ্রী সম্মানের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।শীতলকুচি ব্লকের ছোটশালবাড়ি গ্রামে খুব ছোটবেলায় রেডিওতে বাংলাদেশের রংপুরের তিস্তাপাড়ের ভাওয়াইয়া গান শুনে সেই গানের প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি।
একটু বড় হতেই গ্রামে অনুষ্ঠান করতে আসা প্রখ্যাত ভাওয়াইয়া শিল্পী আয়েশা সরকার এবং নগেন শীল শর্মার গান শুনে তাঁদের মতো শিল্পী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল গীতাদেবীর। ভাওয়াইয়া সংগীত চর্চার পাশাপাশি নিজের বাড়িতে ভাওয়াইয়া নৃত্য সহ নানা লোকনৃত্যের প্রশিক্ষণ দেন তিনি। ভাওয়াইয়া সংগীতের জন্য পদ্মসম্মান ভাওয়াইয়া সংগীতের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল বলে গীতাদেবী জানান। গ্রামের পথে পথে দোতারা হাতে কোনো উদাসী মানুষ গেয়ে চলে যায় আর সেই সুরে ততক্ষণে চোখে ভিজেছে স্রোতার এমন গানই তো ভাওয়াইয়া।।উত্তরবঙ্গে প্রচলিত এই লোকগান। সুরলালিত্যে ভরপুর,এই গায়কীরীতি বিশ্বজয় করুক চান শিল্পী।