রাজ্যের খবর

পৌষপার্বণে পিঠেপুলির রীতি, রোজগার বাড়াচ্ছে শিল্পীদের

Pitha Puli is a tradition on Paush Parban

The Truth of Bengal: রবিবার মকর সংক্রান্তি। ঘরে ঘরে পিঠুপুলি খাওয়ার তোড়জোড় চলবে। কাকভোরে উঠে বাড়ির সদর দরজার সামনে গোবর দিয়ে মা-বোনেরা পৌষবুড়ি তৈরি করবেন। তারপর  ছুটে যাবের নদী বা পুকুরের ঘাটে। ভোরে বাড়ি ফিরে পাটভাঙা শাড়িতে পৌষ আগলানো শুরু করবেন। গোবরের গোলাকার পিণ্ডের উপর ধান দূর্বা ফুল যবের শিস সিঁদুর দিয়ে পৌষবুড়িকে পুজো করা হবে। প্রার্থনা করবেন,“এসো পৌষ যেও না, জন্ম জন্ম ছেড়ো না”আর এই পৌষপার্বনে মাটির সরায় তৈরি করা হবে নানান পিঠে।

সিদ্ধ পিঠে,পাটি সাপটা,দুধ পুলি,চন্দ্রপুলি,আস্কে পিঠে,মালপোয়া,সড়ু চাকলি,গোকুল পিঠে আরও কত কী। জিভে জল আনা এই সব পদ মাটির পাত্রে তৈরি করলে তার স্বাদটাই হয় আলাদা। সনাতনী স্বাদের বাহার, উপভোগ করার জন্য অনেকেই তাই কুমোড়পাড়ায় যাচ্ছেন। কিনে আনছেন ফ্রি সাইজের মাটির সরা সহ নানা সামগ্রী। পৌষ সংক্রান্তির আগে চাহিদা বাড়ায় মাটির সরা তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কালিয়াগঞ্জের বুড়িপুকুর পালপাড়া, তরঙ্গপুর পালপাড়া, মোস্তফানগর মিশন মোড় এবং কুনোরের মতো বিভিন্ন এলাকার মৃৎশিল্পীরা।

শিল্পীদের হাতের জাদুতেই সুশ্রী পাত্র তৈরি হয়। এই মাসে রোজগার বাড়ায় সবকিছু ছেড়ে কারিগররা নানা রকমের পাত্র তৈরি করেন। করেন এক্সপেরিমেন্ট। গ্রামে দু’তিন দিন ধরে চলে পৌষ উৎসব। উৎসব মানে চাল, দুধ, গুড়, দিয়ে নানারকম পিঠেপুলি তৈরি করা আর সকলে মিলে খাওয়া। যার আনন্দ বোলে বোঝানো যায় না। শীতের কাপনের সঙ্গে পিঠেয় কামড় দেওয়ার এই রীতি শুধু সামাজিক বাঁধনটাই শক্ত করে না শিল্পী-কারিগরদের লক্ষ্মীর ভাঁড়ও ভরায়।

Related Articles