অফবিট

শৈশবেই ঘটে পিতৃবিয়োগ, মিড ডে মিল রান্না করে ছেলেকে পড়িয়েছেন মা! সেই ছেলে আজ হয়ে দেখালো IAS

 

তেলেঙ্গানার এক ছোট্ট শহরের দলিত পরিবারের ছেলে ডোংরে রেভাইয়াহ। স্বামীর অকাল মৃত্যুর পর একাই সন্তানকে মানুষ করেছেন তার মা। স্কুলে মিড-ডে মিল রান্না করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল ছেলে যেন ভালো মানুষ হয়, সুশিক্ষিত হয়।

ডোংরেও তার মায়ের স্বপ্ন পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন তিনি। আইআইটি এন্ট্রান্স পাস করে ভর্তি হন মাদ্রাজের আইআইটিতে। কিন্তু পড়াশোনা চালানোর খরচের অভাবে একসময় পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেন।

তখনই জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আবার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন তিনি। আইআইটি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হন। এরপর গেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে হায়দরাবাদে একটি মোটা মাইনের চাকরিতে যোগ দেন।

কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল আইএএস অফিসার হওয়ার। তাই চাকরি ছেড়ে দিয়ে মনোনিবেশ করেন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে। ২০২২ সালের পরীক্ষায় প্রথমবারেই ৪১০তম স্থান অর্জন করেন তিনি।

ডোংরে রেভাইয়াহর সাফল্য তার পরিবার, শিক্ষক এবং জেলা প্রশাসনের জন্য গর্বের। তার সাফল্য প্রমাণ করে যে, দরিদ্রতা বা অন্য যেকোনো প্রতিবন্ধকতা কখনই স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হতে পারে না।

ডোংরে রেভাইয়াহর সাফল্যের কারণ

ডোংরে রেভাইয়াহর সাফল্যের পিছনে তার কঠোর পরিশ্রম, মনোবল এবং লক্ষ্য অর্জনের অদম্য ইচ্ছাশক্তিই ছিল সবচেয়ে বড় কারণ। তিনি ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন। কিন্তু পড়াশোনা চালানোর খরচের অভাবে একসময় পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেন। কিন্তু তার মা তাকে উৎসাহিত করেন এবং পড়াশোনার জন্য সাহায্য করেন। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় তিনি আবার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন।

চাকরিরত অবস্থায়ও তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকেন। কিন্তু বুঝতে পারেন যে, চাকরিরত অবস্থায় পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব নয়। তাই চাকরি ছেড়ে দিয়ে মনোনিবেশ করেন প্রস্তুতি নিতে।

ডোংরে রেভাইয়াহর সাফল্য প্রমাণ করে যে, দরিদ্রতা বা অন্য যেকোনো প্রতিবন্ধকতা কখনই স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হতে পারে না। কঠোর পরিশ্রম, মনোবল এবং লক্ষ্য অর্জনের অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকলে যেকোনো বাধা অতিক্রম করে স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব।

Related Articles