
The Truth of Bengal: ভ্রমণ এবং তীর্থস্থান একসাথে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে পৌঁছে যান বীরভূমের বীরচন্দ্রপুরে। চৈতন্যদেবের সঙ্গি নিত্যানন্দের জন্মস্থান এখানে। কেবল নিত্যানন্দের ভিটে বাড়ি নয় এখানে গেলে আপনি দেখবেন একটি ছোট্ট পুকুর। এই পুকুরের গভীরতা ৭৫ থেকে ৮০ ফুট। প্রায় দশতলা বাড়ির সমান। এই পুকুর নিতাই কুণ্ডু নামে পরিচিত। পুকুরটি প্রায় ৬০০ বছরের পুরনো। সেই স্থানে নির্মিত হয়েছে একটি মন্দির। যার উচ্চতা ১৬২ ফুট।
পুরীর মন্দিরের আদলে নির্মিত এই মন্দিরে রয়েছে ৯ টি চূড়া। মন্দিরের একদম উপরে রয়েছে সুদর্শনচক্র। মন্দিরের তিনদিকের প্রবেশ দ্বার তৈরি করা হয়েছে কর্ণাটকের স্থাপত্যশৈলীর আদলে। শিল্পীর নিখুঁত শৈল্পিক ফুটে উঠেছে এই মন্দিরের পরতে পরতে। শ্বেতপাথরে খোদাই করা মন্দিরের ভিতরে রয়েছে রাজস্থানের শিল্প শৈল। মন্দিরের প্রঙ্গনে রয়েছে সংগ্রহশালা যেখানে যত্নসহকারে রাখা রয়েছে চৈতন্য মহাপ্রভুর হস্তাক্ষর।
এছাড়াও এখানে রয়েছে সুবিশাল গ্রন্থাগার। রয়েছে নানা ফুলের বাগান। এমনকি পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে অতিথিশালা। বীরচন্দ্রপুর থেকে আপনি চায়লে ঘুরে আসতে পারেন তারাপীঠ। বীরচন্দ্রপুর থেকে ৮ কিমি দুরেই রয়েছে তারাপীঠ। বীরচন্দ্রপুরে যেতে গেলে আপনাকে প্রথমে পৌঁছাতে হবে বীরভূম সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারবেন নিত্যানন্দের ভিটে বাড়ি এবং বীরচন্দ্রপুর মন্দির দর্শনে।