Truth Of Bengal: রবিবার ছুটির দিনেও খোলা রয়েছে পঞ্চায়েত। অফিসের সামনে সারিবদ্ধ সাইকেল। সেখানে পরিষেবা পাচ্ছে গরিব দুঃস্থ বাড়ির ছেলেমেয়েরা। পঞ্চায়েতের উদ্যোগে চলছে বিনা পয়সার পাঠশালা। কারও বাবা টেলারিং কর্মী, কারও দিনমজুর। এলাকার দুঃস্থ মেধাবী পড়ুয়াদের লেখাপড়ার অগ্রগতিতে এভাবেই টিউশনের ব্যবস্থা করেছে হুগলির কামারপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েত। অভিনব এই উদ্যোগের নাম ‘শিক্ষাঙ্গনে পঞ্চায়েত’।
তবে শুধু রবিবার নয় সপ্তাহের প্রতিটা দিন সকাল বিকেল নিয়ম করে চলে এই বিনা পয়সার পাঠশালা। দুবছর আগে সূচনার সময় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল সত্তর। এখন পড়ুয়ার সংখ্যা সাড়ে তিনশো ছাড়িয়েছে। স্থানীয় কামারপুকুর মিশন, আশেপাশের বেশকিছু স্কুলের ও এলাকার প্রাইভেট টিউটর সহ মোট ৫৪ জন শিক্ষক পঞ্চায়েতে এসে বিনা পারিশ্রমিকে শিক্ষাদান করেন।
এমনকী দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের সমস্ত কর মকুবও করেছে পঞ্চায়েত। অর্থের অভাবে মেধা যাতে নষ্ট না হয়। শিক্ষাবন্ধু হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিশ্বস্ত হাত হয়ে উঠেছে এই পঞ্চায়েত। অভিনব এই উদ্যোগ সাড়া ফেলেছে মহকুমাজুড়ে। সপ্তম থেকে দশম চারটি শ্রেণির পড়ুয়াদের সমস্ত বিষয়ে টিউশনের ব্যবস্থা রয়েছে।
সকালে ৭টা থেকে সাড়ে আটটা এবং বিকেলে ৫ টা থেকে সাড়ে ছটা পঞ্চায়েতের নিজস্ব কক্ষে চলে এই বিনা পয়সার পাঠশালা। এতে কপালে চিন্তার ভাঁজ কমেছে অভিভাবকদের। স্কুলের বাইরে যত্ন সহকারে টিউশন পেয়ে খুশি পড়ুয়ারাও। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সেবামূলক আদর্শই এই অভিনব উদ্যোগের অনুপ্রেরণা, দাবি পঞ্চায়েত প্রধানের।