ছোট পোশাক পরার পরিণতি নরকবাস! কর্ণাটকের ছাত্রীর বিজ্ঞান প্রকল্প ঘিরে বিতর্ক
The consequences of wearing short dresses are hell! Karnataka student's science project stirs controversy

Truth of Bengal: কর্ণাটকের চামরাজনগর জেলার একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে এক ছাত্রীর ধর্মীয় মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয় এবং বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাদানের ধরন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, ছাত্রীটি দুটি পুতুল প্রদর্শন করে—একটি বোরকা পরিহিত এবং অন্যটি ছোট পোশাক পরা। বোরকা পরিহিত পুতুলটি ফুল দিয়ে সাজানো একটি কফিনে রাখা হয়, আর ছোট পোশাক পরিহিত পুতুলটি সাপ ও বিচ্ছুতে ভর্তি কফিনে রাখা হয়। ছাত্রীটি বলে, “যদি বোরকা পরা হয়, তবে মৃত্যুর পর দেহের কিছু হয় না। কিন্তু যদি ছোট পোশাক পরা হয়, তবে সে নরকে যাবে, আর সাপ-বিচ্ছু তার শরীর খেয়ে ফেলবে।”
Karnataka: A Muslim in science exhibition shows 2 dolls in coffin which Hijabi going to heaven and women wearing normal clothes will go to hell
Yes, she did this in science exhibition 😭😭😭 pic.twitter.com/4Afcfxvuig
— Hindutva Knight (@HPhobiaWatch) March 24, 2025
এছাড়াও, ছাত্রীটি ইসলামিক ধর্মগ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে বলে, “যে পুরুষ তার স্ত্রীকে বোরকা ছাড়া ঘরে ঘোরাঘুরি করতে দেয়, সে ‘দাইয়্যুস’ (অর্থাৎ মর্যাদাহীন) ব্যক্তি।” এই মন্তব্যের পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। অনেকে প্রশ্ন তোলেন, বিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কীভাবে এমন বক্তব্য রাখা সম্ভব।
এই ঘটনার পর কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার এবং পুলিশের মহাপরিচালকের (DGP) কাছে দ্রুত পদক্ষেপ ও তদন্তের দাবি ওঠে। প্রশাসন জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চামরাজনগরের ডেপুটি ডিরেক্টর অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন (DDPI) রাজেন্দ্র রাজে উরস নিশ্চিত করেছেন যে, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করছে। তিনি বলেন, “প্রথমে ঘটনার প্রেক্ষাপট বোঝা দরকার। তার পরেই আমরা বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে পারব।”