ডিফেন্সকে সামলে তবেই যেন আক্রমণে আসে মহমেডান : দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন জাতীয় গোলরক্ষক
Mohammedan will attack only if they manage the defense: Debashish Mukherjee

Truth Of Bengal : শনিবার আইএসএল-এর আরও একটি ডার্বি ম্যাচ। যুবভারতীতে এই ম্যাচে শক্তিশালী মোহনবাগানের বিপক্ষে মাঠে নামবে মহমেডান। এই ম্যাচের আগে পয়েন্ট টেবিলের দিকে যদি তাকানো যায়, তাহলে দেখা যাবে মোলিনার দল রয়েছে একেবারে শীর্ষে, আর মহমেডান রয়েছে একেবারে তলানিতে। অর্থ্যাৎ লিগের ১৩ নম্বরে। সুতরাং ১ আর ১৩-র লড়াই। ধারে ও ভারে মোহনবাগান যে মহমেডানের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে সে কথা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তবুও আমার মনে হয় এইসব ম্যাচে পয়েন্ট টেবিল কোনও ফ্যাক্টর হয় না। কেননা, ম্যাচটা কলকাতার দুই প্রধানের মধ্যে হবে। তাই লড়াইটাও যথেষ্ট হাড্ডাহাড্ডি হবে।
উদাহরণ হিসাবে বলতে পারি, সাদা-কালো ব্রিগেড আগের বিগত বেশ কয়েকটা ম্যাচে দারুণ লড়াই করেছে। বেঙ্গালুরুকে ওদের ঘরের মাঠে হারিয়েছে। মুম্বই ম্যাচেও প্রায় ৭০ মিনিটের বেশি সময় ওদের রুখে দিয়েছিল। কিন্তু নিজেদের রক্ষণের ভুলে শেষ পর্যন্ত হারতে হয়। তাই মোহনবাগানের বিপক্ষে ম্যাচে সাদা-কালো ফুটবলারদের প্রথম কাজই হবে নিজেদের ডিফেন্সকে শক্তিশালী রাখা। যাতে বাগানের মাঝমাঠের স্তম্ভ গ্রেগ স্টুয়ার্ট কোনওভাবেই খেলা তৈরি করতে না পারেন। স্টুয়ার্টের প্রতি একটু বেশিই খেয়াল রাখতে হবে। যদিও গ্রেগ আগের ম্যাচে অতটা সপ্রতিভ ছিলেন না। তবুও মোলিনার হাতে অনেক বিকল্প খেলোয়াড় থাকায়, চটজলদি তিনি প্ল্যান এ কাজ না করলে প্ল্যান বি-তে চলে যাবেন এটা স্বাভাবিক। এই জায়গাতেই পিছিয়ে থাকবে মহমেডান। সুতরাং ম্যাচের শুরু থেকেই যেন সেইভাবে মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই মেহরাজের ছেলেদের মাঠে নামা উচিত।
বড় ম্যাচের আগে মহমেডানের প্রায় সবকটা ম্যাচ দেখে আমার মনে হয়েছে, কাশিমভ, অ্যালেক্সিস, গৌরব বোরা, ফ্রাঙ্কারা কাউন্টার অ্যাটাক ভিত্তিক ফুটবলটা খেলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য। কাজেই আমি চাইব মোহনবাগানের বিরুদ্ধেও প্রতি আক্রমণ ভিত্তিক ফুটবলই খেলকু মহমেডান। তাহলেই বাগানের রক্ষণ ভাঙা সম্ভব। মেহরাজ অভিজ্ঞ কোচ, দীর্ঘদিন কলকাতা মাঠে সুনামের সঙ্গে খেলেছেন। কাজেই ও নিশ্চয়ই দলকে সেইভাবেই সাজাবেন।
আর সবশেষে বলি ডার্বি ম্যাচের আগে অনেকে মহমেডান আভ্যন্তরীন সমস্যার কথা বলছিলেন। যাতে এই ম্যাচে তার কোনও প্রভাব পড়বে কি না। আমার মনে হয়, মাঠের বাইরের এইসব ব্যাপারে মাঠের মধ্যে কোনও প্রভাব ফেলবে না। কারণ এখন প্রতিটা দলের খেলোয়াড়রাই প্রফেসনাল। তাঁরা মাঠের বাইরের এই সব ব্যাপার নিয়ে নিজেদের জড়াতে চান না। তাঁরা নিজেদের খেলা নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। সুতরাং শনিবারও একটা ভাল ম্যাচ দেখার প্রতীক্ষায় রইলাম।